কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালের পাওয়া যায় গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা মদ ট্যাপেন্টা নামক নেশার বিষ।
সীমান্ত এলাকা হওয়ায় খুব সহজের যত্র তত্র মেলে এ সকল মাদকদ্রব্য। ১শ’ টাকা হলেই মিলবে গাঁজা পরিমান যত বেশি দাম তার তত বেশী ১ হাজার টাকা হলেই মিলবে ফেনসিডিল যখন বর্ডার বন্ধ থাকবে দাম তখন দ্বিগুন। অতি উচ্চ মাত্রার নেশা এটি তাই ফেনসিডিল খেলে গাঁজা খাওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে।
নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলো এতই সহজলভ্য। মোবাইলে কল করতেই যা দেরী, মাল পৌছাতে দেরী নাই। মাল পৌছে যায় সাথে সাথেই “আমি তোমার পকেটেই” অবস্থা ঠিক এমনই। ফেনসিডিল নামক ক্রেজি নেশার কবলে পড়ে দৌলতপুর উপজেলার মত দিশেহারা সারা দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী স্কুল কলেজ পড়–য়াসহ রাজনৈতিক লিডার প্রকৃতির লোক।
মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দৌলতপুর উপজেলা সহ এই থানার সমস্ত অলিগলি গ্রামগঞ্জ। এই নেশায় আশক্ত হওয়ার ফলে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে আক্রান্তরা নিজেই এমনকি তাদের পরিবার কাছের আত্মীয় স্বজনরা। ক্রমশ বেড়ে চলছে এর রাজত্ব। দৌলতপুর থানার এমন কোন গ্রাম বা অঞ্চল নেই। এই নেশার ভয়াল থাবা পৌছায়নি। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গাঁজা ফেনসিডিল ট্যাপেন্টা ইয়াবা দৌলতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে। সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর, মহিষকুন্ডি, ভাঙ্গাপাড়া, জামালপুর, চিলমারী, বগমারী, চল্লিশপাড়াসহ ডাংমড়কা বাজার, মথুরাপুর, হোসেনাবাদ, তারাগুনিয়া, সোনইকুন্ডি, চরদিয়াড়, গাছের দিয়াড়, কল্যানপুর, সাদীপুর, জয়রামপুর, রিফায়েতপুর, উপজেলা পূর্বপাড়া, দৌলতপুর বিলপাড়া উপজেলা বাজার, দৌলতপুর বাজার মাদকসেবীদের শীর্ষে রয়েছে গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা ট্যাপেন্টা নামক এই মরন নেশাদ্রব্য।
এই সর্বনাশা মাদককে যে নাম নিয়েই ডাকুক না কেন ভয়ঙ্কর এই পাগলা ঘোড়ার অশুভ দৌড় যেন থামছেই না। রুখে দেওয়ার যেন কেউ নেই। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করা গুটি কয়েক অসাধু লোকের অর্থলিপ্সার মুখে হারাতে বসেছে আমাদের নীতি নৈতিকতা আর সামাজিক মূল্যবোধ। এর উম্মাদনায় শূধু যুব সমাজই নয় স্কুল কলেজের কোমলমতি শিশু কিশোররাও আক্রান্ত। উজ্জল ভবিষ্যত ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে জীবনের শুরুতেই। প্রকৃত অর্থে এসব কোমলমতি শিশু কিশোরদের সোনালী ভবিষ্যত নয় ধ্বংস হচ্ছে দেশ জাতীর উজ্জল ভবিষ্যত। আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সবার প্রিয় বাংলাদেশ। এই মরন নেশার তালিকায় পিছেয়ে নেই মেয়েরাও।
পরিনত বয়সী গ্রাহকের সংখ্যাও নগন্য নয় বলে জানা যায়, অথচ মরন নেশা গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা ট্যাপেন্টার থাবায় আক্রান্ত যুব সমাজকে উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের চলমান চেষ্টার যেন শেষ নেই। এই চেষ্টার ফলাফল অন্তহীন প্রচেষ্টার মাঝেই ঘুরপাক খাওয়া কর্তপক্ষের চোখের সামনেই বেড়ে চলছে এর সর্বনাশা আগ্রাশন। বিভিন্ন বয়সী আসক্ত যুব সমাজের অভিমত অনুযায়ী সহজলভ্যতা পরিবহনে সুবিধা ও সল্পসময় লাগাই এর বিস্তারের প্রধান কারন বলে জানা যায়। অসাধু রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টতা মাদক দ্রব্য বিস্তার রোধের অন্যতম কারন।
কয়েকজন নেশায় আসক্ত যুবক জানান, অনিদ্রা স্বাস্থ্যহীনতা অস্থিরতা উগ্র সভাবের কারনে এক পর্যায়ে সুস্থ সমাজ থেকে বিতারিড়ত হয় আমাদের মত মাদক সেবীরা। যা তার সাথে সাথে তার পরিবারকেও নিয়ে যায় অনিশ্চিত গন্তব্যে।
তাই একজন মাদকসেবীর সাথে সাথে শুধু তার পরিবারই নয় ধ্বংসের মুখে পড়ে আমাদের সমাজ আমাদের দেশ। অন্ধকারে হারিয়ে যেতে থাকে আমাদের সম্ভাবনাময় মানব সম্পদ পিছিয়ে পড়ে জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড।
আর//দৈনিক দেশতথ্য// ১১ জুন-২০২২//