কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. আবু সাইদ রাসেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সন্তান পেটে আসায় একাধিকবার তাকে হত্যারও চেষ্টা করা হয়।
নির্যাতনের অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী সানজিদা আক্তার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
যৌতুক না দিলে তাকে আর ঘরে তোলা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে দৌলতপুর থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন সানজিদা আক্তার । মামলায় স্বামীসহ আরও এক’জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা হল স্বামী আবু সাইদ রাসেলে পিতা মোঃ রেজাউল হক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে শাহিন মন্ডলের মেয়ে সানজিদা আক্তারের সঙ্গে ছয় বছর আগে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চকদৌলতপুর ইনছানমোড় গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আবু সাইদ রাসেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন। একপর্যায়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়ার জন্য চলে দফায় দফায় নির্যাতন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১১ এপ্রিল,২০২২//