দৌলতপুর প্রতিনিধি :
এক রেমিটেন্স যোদ্ধার স্ত্রী ও তার পরিবারের উপর চালানো হয় নৃশংস নির্যাতন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী মোছাঃ আকলিমা খাতুন (৪৫) দৌলতপুর থানায় ছয়জন নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেছেন গত ২৬মে ২০২৫।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত ২৫ মে রাত ৮টার দিকে আসামি মোঃ ফিরিজুল মালিথা, মোঃ হৃদয় মালিথা, মোঃ আব্বাস মালিথা, মোঃ মুক্তার মালিথা, মোঃ শফিকুল মালিথা ও মোঃ ফরিদুল মালিথা সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তাদের হাতে লাঠি, লোহার রড, রামদা ও হাসুয়া নিয়ে বেআইনীভাবে আকলিমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপরই শুরু হয় নারকীয় তাণ্ডব।
আকলিমা খাতুনকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। তার মেয়ে বৈশাখী খাতুন (১৬) মাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এমনকি তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
বয়স্ক শাশুড়ি রকেজান খাতুন (৬০) এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক পেটানো হয়। এই হামলার সময় বৈশাখীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হামলাকারীরা, যার আনুমানিক মূল্য ৭০,০০০ টাকা। ঘরের স্টিলের বাক্স থেকে লুট করা হয় গচ্ছিত নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা।
ঘটনার সময় চিৎকার শুনে আসে মোঃ শিপন আলী ও মোঃ খালেক মালিথা সহ আরও অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর আহতরা দৌলতপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগী আকলিমা খাতুন জানান, তার স্বামী মোঃ খালেক মালিথা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় গ্রামের প্রতিপক্ষদের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষ ।
ঘটনা ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
কালিদাসপুর ফাঁড়ির অফিসার ইনর্চাজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Discussion about this post