দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু (৬২) নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা জানালা দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে এলাকায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ও সশস্ত্র তান্ডলীলা চালায়, এসময় তিন টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু। দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ও সশস্ত্র তান্ডলীলা ও তিন টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকেরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও রাজনীতিতে তিনি নিষক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন একসময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর দলীয় রাজনীতি করেন না।’
হত্যাকান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চলছে। নিহত চেয়ারম্যানের লাশ ঘটনাস্থলেই পড়ে রয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।
হা/ডিটিবি/৩০/০৯/২৪

Discussion about this post