কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। যারা ক্ষমতায় আসে তাদেরই চোখ পড়ে এই অফিসের ওপর। যে সরকারই আসুক উপজেলা থেকে বিভিন্ন সময় সরকার দলীয় নেতাদের কারনে স্থানান্তর হয়েছে এই অফিসটি।
যেখানেই স্থানান্তর হোক না কেন সেখানেই চলে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের মহা উৎসব। এই প্রথম চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্থায়ী ভবন নির্মানের জন্য প্রায় ২৭শতাংশ জমি দান করেছেন স্থানীয় একটি পরিবার। যদিও নাম হয়েছে দান করার কিন্তু রেজিষ্ট্রি অফিসের মহরিগন চাঁদা তুলেই জমির দাম পরিশোধ করেছেন বলে লোকমুখে শোনাযায়।
সূত্রমতে জানাযায়, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ভবন নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ এসেছিল এই উপজেলায়। কিন্তু নির্ধারিত যায়গা না থাকার কারনে সেই অর্থ ফেরতও গিয়েছে।
জানাযায়, দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস দীর্ঘ ৩০বছরের অধিক সময় ধরে উপজেলার মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, দৌলতপুর, কুষ্টিয়ার ভবন ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে এই অফিসটি বিভিন্ন যায়গাতে স্থানান্তরও হয়েছে সরকার পরিবর্তনের কারনে। আবার ফিরে এসে একই ভবনে রেজিষ্ট্রি কার্যক্রমও চলছে। ইতিমধ্যে গত কয়েকমাস পূর্বে চলতি বছরে মহরীগনের উদ্যোগে দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের স্থায়ী ভবন নির্মানের জন্য নির্ধারিত স্থান ঠিক করেছেন তারা। এখন তাদের একটাই চাওয়া যেই অফিস থেকে সরকারের সর্বোচ্চ আয় হয়, যে অফিসের ছিলনা নির্ধারিত স্থান। সকলের প্রচেষ্টায় হয়েছে নির্ধারিত স্থান, এখন সরকারের উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের একটাই দাবী দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ভবন হবে কবে?
এব্যাপারে এই উপজেলায় বসবাসরত স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি আসলেই অবহেলিত একটি অফিস। সরকার সব থেকে বেশি ভ্যাট পায় এই অফিস থেকে অথচ নেই কোন নির্ধারিত ভবন। তারা আরো বলেন, এতোদিন অফিসটির যায়গা জমি ছিলনা এখন হয়েছে। আমরা চাই রেজিষ্ট্রি অফিসের জন্য অতিসত্ত¡র নিজস্ব একটি ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করবে উপজেলার কর্তাব্যাক্তিরা।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৮ অক্টোবর ২০২৩

Discussion about this post