মো.আলাউদ্দীন, হাটহাজারী:হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শুক্রবার(০৪ মার্চ) বিকালের দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজিদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলা ও নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণার প্রসার ঘটানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ হয়ে থাকতে পারে। ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এ জাতীয় সিদ্ধান্ত জাতি কখনো মেনে নেবে না। আমরা অবিলম্বে এ সুপারিশ বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
হেফাজত নেতারা আরও বলেন, শিক্ষার লক্ষ্য তো শুধু রুটি-রুজির জন্য জ্ঞান আহরণ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা নয়, বরং শিক্ষার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে- নীতি-নৈতিকতা, বিনয়, মানবতাবাদ, ইনসাফপূর্ণ দেশ ও সমাজগঠন এবং সৎভাবে জীবন পরিচালনার প্রেরণা লাভ ও জ্ঞান অর্জন করা। আর এসব অর্জন করতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা ও তার অনুশীলনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে ওই বিষয়ের আর গুরুত্ব থাকে না। তখন সঙ্গতভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্ব হারাবে। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসলাম থেকে দূরে সরে যেয়ে নাস্তিক্য ধ্যান-ধারণার প্রসার ঘটাবে। দেশে মাদকের কারবার, খুন-খারাবি, অপরাধ প্রবণতা, ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন বাড়বে। পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
এছাড়া তারা এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ বাতিলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এক্ষেত্রে আমরা ধর্মীয় অনুশীলন ও নীতি-নৈতিকতা থেকে দূরে সরে পড়ে আত্মকেন্দ্রিকতা ও ভোগবাদের প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে। পুঁজিবাদের বাজার সম্প্রসারিত হয়ে শোষণ ও লুটপাট আরও গভীর হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post