ইরফান উল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: মাগুরায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষনে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় বক্তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
রোববার (৯ মার্চ) বিকেল সোয়া ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বেলা ১২ টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাসি দে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জাস্টিস ফর আসিয়া, আসিয়া আসিয়া’, ’তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এছাড়াও তারা ‘ধর্ষণের বিচার মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক’, ‘মাগুরায় ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের ফাসি চাই’,‘আশ্বাসস নয় আইনের বাস্তবায়ন চাই’, ‘আমি মেয়ে আমি অবহেলিত না’সহ বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে উপস্থিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া মাহমুদ মীম বলেন, মাগুরায় ৭ বছরের ছোট্ট শিশু আসিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জাজনক। ছোট্ট আসিয়াকে তারই নিকট আত্মীয়রা নরপশুর মতো ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে। আমরা এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে পরবর্তীতে আর কেউ ধর্ষণের সাহস না করে। বাংলাদেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণকারীরা পাড় পেয়ে যায়। ফলে বারবার এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলে দেশে ধর্ষণের পরিমাণ কমে যাবে। আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এছাড়া এসকল ঘটনায় আমাদের সকলের জায়গা থেকে জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ছোট্ট আসিয়া ধর্ষণের ঘটনায় আজ সারা বাংলাদেশ প্রতিবাদে জেগে উঠেছে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠছে। আমরা এইসকল নরপশুদের ফাঁসি চাই। আমাদের জুলাই আন্দোলনসহ যেকোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে নারীরা এগিয়ে থাকে। কিন্তু আজ নারীরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বর্তমান সরকার ধর্ষণসহ অন্যান্য অন্যায় কর্মকাণ্ডের যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে বাধ্য হবে। আমরা ধর্ষণের আইন ফাঁসি দেখতে চাই এবং অতিদ্রুত সকল ধর্ষণের যথাযথ বিচার চাই।

Discussion about this post