আল হেলাল সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় কিশোরিকে পাশবিকতার অভিযোগে মাওলানা শফিকুর রহমান (৪৪) নামের মসজিদের এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মাওলানা শফিকুর রহমান, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বানীগ্রামের মৃত আবদুল বারির ছেলে ও ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও ওই মসজিদে পরিচালিত ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের একজন সহকারী শিক্ষক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছে মাওলানা শফিকুর রহমান।
এবার মাহে রামাদানে ওই মসজিদে ইত্তেহাদুল কুররার অধীনে কেরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়। তিনি ওই কেন্দ্রের একজন সহকারী শিক্ষক।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম রামাদান থেকে মসজিদে ইত্তেহাদুল কুররার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভিকটিম কিশোরি ভর্তি হয়। এর পর থেকে ওই মসজিদের ইমাম ও ইত্তেহাদুল কুররার শিক্ষক মাওলানা শফিকুর রহমানের কু-নজর পড়ে ভিকটিম কিশোরির দিকে।
এক পর্যায়ে গত ৬ মার্চ দুপুর ১টার দিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে গেলে কৌশলে ওই কিশোরকে মসজিদের হুজরাখানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই ইমাম।
এ ঘটনা কাউকে না বলতে কিশোরিকে ভয় দেখিয়ে প্রথমদিন বিদায় দেয়। দুইদিন পর গত ৮ মার্চ দুপুরে ওই ভিকটিমকে জোরপূর্ব হুজরাখানায় নিয়ে আবারও পাশবিকতা চালায় সে। দ্বিতীয় দিন পাশবিকতার শিকার হয়ে বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবারকে অবহিত করে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে তাকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে ওই কিশোরিকে পরিক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Discussion about this post