নওগাঁ প্রতিনিধি:
বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নওগাঁয় সংগঠক ও সমর্থকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ শহরের চকরামপুর মহল্লার গার্ডেন সেন্টারে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ আলী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ মঞ্চ নওগাঁর সভাপতি কাজী মহিউদ্দীন আলমগীর।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ খাঁন, আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাসুদ রানা, তৈয়ব আলী, আলোকিত নওগাঁর সহ সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ ও রাকিবুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ মঞ্চ নওগাঁর সভাপতি কাজী মহিউদ্দীন আলমগীর বলেন, যাদের কোন লক্ষ্য ও আদর্শ নাই তাদের সাথে আমরা চলতে পারি না। ক্ষমতায় যেতে পারলে কিভাবে লুটপাট করে খাবে তারা (আওয়ামী লীগ) ভাল করে যানে। চেতনা করেই ১৭ বছর পার করেছে। এরপর ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যে বিরোধী আন্দোলনে মাধ্যমে তাদের পতন হয়। ৩১ দফার সাথে অনেকেই গাদ্দারি করবে। আর এই গাদ্দারদের হাত ধরে আবারও এক বছরের মধ্যে শেখ হাসিনা ফিরে আসবে।
তিনি আরো বলেন- মানুষ জাতীয় নাগরিক কমিটির(এনসিপি) ওপর আশাবাদী ছিল। কিন্তু এখন অনেকটা হতাস। তাদের মাঝে বামপন্থী ও সেকুলার ঢুকে আদর্শিক নষ্ট হয়েছে। বিল্পবের চেতনা লালন করে সামনে এগোতে হলে উদ্যোশে ও লক্ষ নিয়ে এগোতে হবে। বিল্পব হাতছাড়া করা যাবে না।
কাজী আলমগীর বলেন- বাংলার ইতিহাস হাজার বছরের। বৃটিশদের বিতাড়িত করার পর পাকিস্তান আসে। পাকিস্তানিদের মতাদর্শ আমাদের সাথে মিল না থাকায় যুদ্ধ হয়েছিল। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে বিভক্ত করে ভারত। যা তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিলো। তবে আবারো পাকিস্তান ফিরে আসুক আমরা চাই না।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র নিজেদের আদর্শিক জায়গা নষ্ট হওয়ায় এই জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটছে না। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গঠনে আমরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হলে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এ ধরনের মতবিনিময় সভার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে অপ বাংলাদেশ। নাগরিক সমস্যা ও সমাধান। যদি এ সমস্যা সমাধানে ব্যার্থ হয় তাহলে মানুষ শুনবে না।

Discussion about this post