নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সাংবাদিক রাশেদুজ্জামানের উপর হামলা করেছেন সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগ রয়েছে,গত বুধবার ওই মহল্লার মৃত রাজুর ছেলে সৌরভ (২৫), মৃত খোয়াজ মিয়ার ছেলে সুলতানুল ইসলাম চান্দু (৫৫) এবং তার ছেলে রাবিদ (২০)
আহত রাশেদুজ্জামান রাশেদ শহরের পৌরসভা এলাকার লাটাপাড়া মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের ছোট ছেলে। রাশেদ জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠন নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিনই মামলা দায়ের হলেও এখনো কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক মহল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান রাশেদ। পথিমধ্যে হাট নওগাঁ ঈদগাহ ময়দানের গেইটে পৌঁছালে সেখানে সড়কে বালু রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন তিনি। ওই মুহুর্তে ওই মহল্লার প্রভাবশালী সুলতানুন ইসলাম চান্দু ও তার ছেলে রাবিদ এবং সৌরভ নামের এক যুবকসহ ৭ থেকে ৮ জন যুবক রাশেদুজ্জামানের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় রাশেদকে মারপিট করে তার কাছে থাকা নগদ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকাসহ কর্মরত গণমাধ্যমের আইডি কার্ড ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। এতে গুরুত্বর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার রাশেদুজ্জামানের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে বিষয়টি নিয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
রাশেদুজ্জামার রাশেদ বলেন, রাস্তায় বালু ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি হামলাকারীরা পথচারীদের চলাচলের সময় রাতে আজেবাজে কথা বলছিল। যা আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছিল। তাদেরকে সবিনয় অনুরোধ করেছিলাম দ্রুত বালুগুলো সরিয়ে নিতে। এতেই তারা আমার ওপর হামলা করে। এটা তাদের পরিকল্পিত হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছি। কারণ এই চান্দুসহ তার পরিবার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন এলাকার গোপন কিছু ক্রাইমের তথ্য আমি মুঠোফোনে ধারন করেছিলাম। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমার ফোন কেড়ে নিয়ে সেই তথ্য চুরি এবং আমাকে হত্যা করা।
মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রামাণিক বলেন, সাংবাদিকতার সুবাদে আমার ছেলে সব সময় সত্য উন্মোচন করে থাকে। পেশাগত কারণে তার শত্রুও বেশি। সাংবাদিব হওয়ার পাশাপাশি সে একজন সচেতন নাগরিক। এজন্য ওই রাতে রাস্তায় বালি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদ করেছিল। সেই মুহুর্তে আমার ছেলেকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীন বাংলাদেশে আমার সন্তানের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে সত্যিই আমি মর্মাহত। অবিলম্বে আসামিদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post