রাশেদুজ্জামান, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় অন্যের দখলীয় সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে ৫৩ বছর পর জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভীমপুর বালুখোলা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সম্পত্তি দখল করতে না পারায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সম্পত্তির ওয়ারিশ গোলাম মোস্তফার ভাই খোরশেদ আলম।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভীমপুর বালুখোলা গ্রামের মোকাব্বর আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত ওই সম্পত্তি ভোগদখল করছেন। গত ১৫ দিন আগে ১০ কাঠা জমিতে সরিষা রোপন করেন। হঠাৎ করে সোমবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষ ভীমপুর গগনাপাড়া গ্রামের জব্বারের ছেলে ইউনুছ, তার ছেলে এনামুল, পাঠাকাটা গ্রামের সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও আনতাজ এবং নিন্দইন গ্রামের নবীর এর ছেলে মোয়াজ্জেম ওই জমিতে গিয়ে কোঁদাল গিয়ে লাগানো সরিষা উল্টিয়ে নষ্ট করে দেয়।
ভুক্তভোগী কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ১০ কাঠার ওই জমির কিছু অংশ বাবা (মোকাব্বর আলী) পৌত্রিক সূত্রে পাওয়া এবং কিছু জমি ক্রয় সূত্রে মালিক। প্রতিপক্ষকরা বেশ কিছুদিন থেকে ওই জমি নিয়ে ঝামেলা করে আসছে। গত ১৫দিন আগে ওই জমিতে সরিষা রোপন করা হয়। সকালে ওই জমির পাশে কাজ করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষরা কয়েকজন এসে কোদাল দিয়ে সরিষাক্ষেত নষ্ট করে। ক্ষেত নষ্ট না করার জন্য বার বার নিষেধ করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। এতে আমার কয়েক হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই জমিটা আমাদের অনেক দিন থেকে ভোগদখল করে আসছি। গত এক বছর ধরে জমিটা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয়রা জানান, এই জমিতে গত ৫০ বছরে আনোয়ার বা তাদের কোনো আত্মীয় স্বজনকে দেখা যায়নি। এই জমিতে গোলাম মোস্তাফারা চাষাবাদ করেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post