শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা): খুলনার পাইকগাছায় বদ্ধ পোদা নদীর খনন কাজের নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নদীর দু’পাড়ের ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার লতা ইউনিয়নের বদ্ধ পোদা নদীতে মিষ্টি পানি সংরক্ষণের জন্য ৭ কিঃ মিঃ পুনঃখননে প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। পুনঃখননে নদীর মুখে ৯৬ ফুট, তলদেশে ৬৭ ফুট চওড়া ও পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমির তুলনায় নদীর তলদেশের গভীরতা ১০ ফুটের কথা উল্লেখ রয়েছে। কুষ্টিয়ার শহীদুল ইসলামের মালিকানাধীন ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারটি প্রাপ্ত হয়ে খনন কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা নদীর দু’ পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনের অভিযোগ তুলেছেন।
সরেজমিনে স্থানীয় ভুক্তভোগী মোজাফফর, সুব্রত,অনিল, কৃষ্ণপদসহ শতাধিক জন মানুষ এ প্রতিনিধিকে অভিযোগ করে বলেন, নদী খননের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি জোর পূর্বক নদীর দুপাড়ের নানা প্রজাতির গাছ কর্তন করে সাবাড় করছেন। সর্বশেষ স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক প্রাকৃতিক অক্রিজেন ভান্ডার রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাশ স্থানীয়দের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তিনি শুনেছেন স্থানীয় লোকজন নিজ নিজ লাগানো গাছ নদীর খনন কাজের স্বার্থে স্ব স্ব উদ্যোগে কেটে নিচ্ছেন।
বন বিভাগের পাইকগাছা উপজেলা কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় জানান, নদী খনন কাজের সুবিধার্থে বা অন্য যে কোন কারণে নদী পাড়ের গাছ কর্তনের বিষটি তিনি অবগত নন।
ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী শহিদুল ইসলাম জানান, তারা নদীর খনন কাজ করছেন। কাজের সুবিধার্থে স্থানীয়দের যারা ওই সকল গাছ লাগিয়েছেন তারা নিজেরাই সেগুলো কেটে নিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা তাদের কোন লোকজন কাউকে ভয়ভীতি প্রদর্শন তো দূরে থাক কোন গাছই কাটেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post