কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের বহলা গোবিন্দপুর ঈদগাহের পাশ দিয়ে বেয়ে গেছে গড়াই নদী। এই নদীর ভাঙ্গনের ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন পার করছে কয়েক শ‘ পরিবার। যেকোনো সময় তাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে চাপড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মোতাহার বলেন, ভাঙ্গন নিয়ে আমরা খুবই বিপদে রয়েছি। ভাঙ্গনরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ১০/১৫দিনের মধ্যেই ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
চাপড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজুর বলেন, মনে হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বহলা গোবিন্দপুর এলাকাটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এনিয়ে এলাকার এমপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করছি। সরকারের কাছে আবেদন করছি যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙ্গন রোধে ব্লক দিয়ে এই এলাকাটা রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে। ইতিপূর্বে এই নদীর মধ্যে অনেক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গিয়েছে। পাশে একটা বাধ করা থাকলেও সেটা এখন অনেক ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই তারা যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেন তাহলে এলাকাবাসীরা উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলেন, আমরা খুবই গরীব। দিন আনি দিন খায়। আমাদের জায়গা জমি নাই। আমাদের শেষ সম্বল টুকু নদীর ভিতরে চলে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। আমাদের আকুল আবেদন আমাদেরকে বাঁচান। এই নদী ভাঙন রোধে একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৬ জানুয়ারী//২০২২।

Discussion about this post