খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন ওই শিশুটির স্বজনরা। নবজাতকের পিতা সাগর গাজী খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চকরাখালী এলাকার বাসিন্দা।
নবজাতকের পিতা সাগর গাজী জানান, গত ১১ এপ্রিল তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরদিন তাকে খুমেক হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সিজার করা হয়। পরে জানানো হয় তার একটি মেয়ে সন্তান হয়েছে। ‘এরপর তিনি সন্তান দেখতে চাইলে চিকিৎসকরা তার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন।
তারা বলেন, সময় হলে সন্তান পাবেন। সে পর্যবেক্ষণে আছে। এরপর শনিবার সকালে কিডনির সমস্যায় তার সন্তান মারা গেছে বলে জানায় চিকিৎসকরা।’
সাগর আরও বলেন, ‘দুপুরের দিকে মরদেহ তাদের দেয়া হয়। তখন দেখেন বাচ্চার পেট কেটে ফেলেছে। তারা আমার সন্তানকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেললো। তারা আমাকে আগে বললে, প্রয়োজনে আমি সন্তানকে ঢাকায় নিয়ে যেতাম। তার সন্তানকে ইচ্ছা করে আটকে রেখে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রবিউল হাসান বলেন, ওই নারীর বাচ্চা উল্টো অবস্থায় ছিল। তখন পেটের ডান পাশে সামান্য কেটে যায়। ‘এ ছাড়া বাচ্চাটি ডাউন অবস্থা ছিল। তার হার্ট ডিজিজ ছিল। একই সঙ্গে শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্ম নেয়। সেজন্য এই কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিল।
আরও বলেন, শনিবার বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর স্বজনরা আন্দোলন শুরু করেছিল। পরে তাদের অনুরোধ করেছি একটি অভিযোগ দেয়ার জন্য। পরে তারা একটি অভিযোগ দিয়েছে। কালকে (আজ, রবিবার) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কোনো চিকিৎসক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মৃত নবজাতক নিয়ে শনিবার ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে শিশুটির পিতা সাগর গাজী মৃত সন্তানের লাশ নিয়ে বেরিয়ে যান।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ১৭,২০২২//

Discussion about this post