সিলেট অফিস
প্রতিবারের ন্যায় এবারও রোববার (২৮মে) নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে।
নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার কমানো ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণই হল নিরাপদ মাতৃত্ব।
এই দিবস উপলক্ষে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল হাসপাতালের গাইনী এন্ড অবস বিভাগ এক বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘গর্ভকালে চারবার সেবা গ্রহণ করি; নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি’।
সকালে র্যালীটি বের হয়ে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে অব্দুস সামাদ চত্বর ঘুরে নর্থ হাসপাতালে এসে শেষ হয়। র্যালীতে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী এন্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নাহিদ ইলোরা, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হাবিবা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ জাকিয়া জাহান চৌধুবরী, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নাসরিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ উম্মে সাইয়েদা বিলকিস, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জাফরিন ইয়াসমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সায়রা বেগম চৌধুরী ও গাইনী বিভাগের রেজিষ্টার ও এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর ডাঃ মুনতাসির আলম রাহিমী সহ অন্যান্য ডাক্তারবৃন্দ অংশ নেন। সভায় বক্তারা বলেন, গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতার কারণে বিশ্বে প্রতিদিন ৮৩০ নারীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশের মৃত্যু ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ায় নাইরোবি কনফারেন্স এই নিরাপদ মাতৃত্বের ঘোষণা করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২০০০ সালের দিকে ৫০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু কমানো। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয়। ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। নিরাপদ মাতৃত্বের কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন। এসব কার্যক্রমে ২০০০-২০১৭ পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমে। আমাদের দেশে প্রতি ১ লাখ প্রসবের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৫ জন। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা ৭০ জনে কমিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//