দেশতথ্য রিপোর্ট:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতা আন্দোলনে নিহত নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর শিক্ষার্থী শহীদ মোঃ আসিফ হাসানের নামে “আসিফ চত্বরের” স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম শহীদ হন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শহীদ মো: আসিফ হাসান। এই শহীদের স্মৃতিকে চির-স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে “আসিফ চত্বর” নামে নামকরণ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২ টায় “আসিফ চত্বর”-এর স্মৃতিফলক উন্মোচন এবং দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন শহীদ আসিফের পিতা মাহমুদ আলম, মাতা, ভাই, ফুফু এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আবদুল্লাহ , বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কন্দ্রেীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, আসাদ বিন রনি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় সজন, মাহামুদুল হাসান, মহউিদ্দনি নােবলে, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বিভিন্ন অনুষদের ডীন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেন, শহীদ হওয়াটা যখন গৌরবের ও মর্যাদার তখন বেঁচে থাকাটা অপরাধের মনে হয়। তিনি আরো বলেন আসিফ সহ অন্যান্য শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে সংস্কার করা। ছ্ত্রা-জনতার আন্দোলনের অবদান ও আত্মত্যাগ বিশেষ করে আসিফের আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাই।
শহীদ আসিফের পিতা জনাব মাহমুদ আলম তার বক্তব্যে বলেন- আমার সন্তান শহীদ আসিফের জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে সম্মান দেখালো আমি তাতে বিশ্বদ্যিালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। এক আসিফ চলে গেছে, আসিফের মত হাজারো শহীদের ত্যাগের শক্তিতে লক্ষ আসিফরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎসাহিত হবেন।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আবদুল্লাহ বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতা আন্দোলনকে বেগবান করতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন এই আন্দোলনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফ হাসান শহীদ হয় এবং অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। আন্দোলনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে ছিল এবং আহত ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করেছে এবং করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শহীদ আসিফ হাসানের বিদেহী আত্মার মাগফেরত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //১১ আগস্ট, ২০২৪//