টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২৪ ঘন্টায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উৎঘাটন হয়েছে।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রেমিকা মোশের্দা আক্তার, ভাসুর ফুলচান এবং দেবর আব্দুল বারেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মুল ঘাতক মোর্শেদা আক্তার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম আবু মনসুর মুসা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের মানড়া গ্রামের সিংগাপুর প্রবাসি বাবুল হোসেন। তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার একই এলাকার সমেজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া চালিয়ে আসছিল। গত ১৮ জুলাই সোমবার প্রেমিক শফিকুল ইসলাম মোর্শেদা আক্তার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করতে যান। অসুস্থ্যতার কৌশলে মোর্শেদা আক্তার শফিকুলকে টিউবওলের সঙ্গে বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শফিকুলের লাশ বাড়ির টয়লেটে লুকিয়ে রাখে। গভীর রাতে লাশ বস্তাবন্ধি করে দেবর আব্দুল বারেক ও ভাসুর ফুলচানের সহযোগিতায় একটি ভ্যানে করে পাশ্ববর্তী একটি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়।
এদিকে নিখোঁজ শফিকুলের সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী রাহেলা বেগম নাগরপুর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের সুত্রধরে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এসআই মনোয়ার হোসেন ঘটনার পরের দিন মানড়া ব্রিজের নিচ থেকে শফিকুলের লাশ উদ্ধার করে।
তথ্য প্রযৃক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রেমিকা মোর্শেদা বেগমকে গ্রেফতার করে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে। ১৬৪ ধারায় মোর্শেদা বেগম খুনের বিস্তারিত জানান। পরে অপর দুই খুনি আব্দুল বারেক এবং ফুলচানকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম আবু মনসুর মুসা বলেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহমা¥দ কায়সারের দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শফিকুল ইসলাম খুনের রহস্য উৎঘাটন এবং ২৪ ঘন্টায় ঘাতকদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২২ জুলাই-২০২২//

Discussion about this post