এনামুল হক, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া শহরকে আরও সবুজ, নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।
তাঁর ব্যক্তিগত আগ্রহ ও দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন ‘ক্লিন কুষ্টিয়া-গ্রীন কুষ্টিয়া’ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন।
সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌন্দর্যবর্ধক গাছপালা ও ফুলের চারা রোপণ করে চলেছেন।
এই উদ্যোগ কেবল শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে না, বরং একটি পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য নগরী গঠনের পথও সুগম করছে।
প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম সড়ক দ্বীপগুলো, বিশেষত বটতৈল থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত,পরিণত হয়েছে রঙিন ফুল ও সবুজ গাছের ছোট ছোট বাগানে। এসব সজ্জিত বাগান পথচারী ও যাত্রীদের নজর কাড়ে, শহরে এনে দেয় এক প্রশান্তির পরিবেশ।
‘ক্লিন কুষ্টিয়া গ্রীন কুষ্টিয়া’ নামক এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাহারি ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণের কার্যক্রম চালু করেছেন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে রোপিত গাছপালাগুলো কেবল শহরের রূপকে উজ্জ্বল করছে না, বরং তাপমাত্রা হ্রাস, ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
পরিবেশ রক্ষায় সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য কুষ্টিয়া নির্মাণে সহায়ক হবে বলে মনে করেন কুষ্টিয়াবাসী। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা আর উদ্যোগ থাকলেই ব্যক্তি পর্যায় থেকেও শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় ভূমিকা রাখা সম্ভব।
জনসাধারণের প্রশংসা ও উৎসাহ এই উদ্যোগকে ইতিমধ্যে শহরবাসীর মনকে আকৃষ্ট করেছে। অনেকেই তাঁর এ কর্মপ্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। জাকির সরকার শহরের অন্যান্য সচেতন নাগরিকদেরকেও এসকল কাজগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়াকে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। তাঁর এই দূরদর্শী চিন্তা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে আজ কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজে উঠছে, যা ভবিষ্যতে একটি মডেল শহর হিসেবে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়াবাসী।

Discussion about this post