নিজস্ব প্রতিনিধি (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার নূরানী শাখার এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে স্থানীয় লোকজনের হাতে পিটুনির শিকার হন তিনি। এর পরপরই মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে যার যার বাড়িতে চলে যায়।
ওই শিক্ষক মো. খলিলুল্লাহর (২৭) বাড়ি ওই ইউনিয়নে। তিনি একটি মাদ্রাসার মোহতামিম। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে খলিলুল্লাহকে থানায় আনা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে আবাসিক মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন খলিলুল্লাহর বড় ভাই। এতে মোহতামিম হিসেবে যোগ দেন খলিলুল্লাহ। সেখানে এক ছাত্রকে খলিলুল্লাহ একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানতে পারেন ছাত্রটির বাবা। সেখানে গিয়ে অন্য ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।
এ বিষয়ে খলিলুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে চাপের মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে খলিলুল্লাহকে মারধর করেন। পরে তাকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়।
মাদ্রাসার আরও কয়েকজন ছাত্র খলিলুল্লাহর কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। তারা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
মাদরাসাতুল মাদীনা ক্যাডেট মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ্ মুঠোফোনে বলেন, আমি মাদ্রাসায় থাকি না। এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//