ভেড়ামারা প্রতিনিধি : আব্দুস সাত্তার। ইসলামী ব্যাংক ভেড়ামারা শাখার ম্যানেজার। অসাধারন ব্যাক্তিত্ব, যোগ্যতা এবং উদীয়মান সফল ব্যাংক কর্মকর্তা হিসাবে যখন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে চলেছেন ঠিক তখনই পারিবারিক কোন্দলের স্বীকার হয়ে নিউজের শিরোনাম হলেন তিনি। আখ্যায়িত করা হলো, শিবির কর্মী হিসাবে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা।
আব্দুস সাত্তার ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্নাস এবং মার্ষ্টাস শেষ করে ২০০৬ সালে যোগদান করেন ইসলামী ব্যাংকে। এরপর সততা, দায়িত্ববোধ আর দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে ২০২০ সালে ম্যানেজার হন। ইতোপূর্বে ইসলামী ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখা, যশোর শাখা, পোড়াদহ শাখা, কুষ্টিয়া শাখায় গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বপালন করেন।
মে মাসে ভেড়ামারায় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলে নতুন ব্যাংকে ক্রিয়েটিভ অফিসার হিসাবে ম্যানেজার হিসাবে যোগদান করেন সফল ব্যাংকার আব্দুস সাত্তার। এরপর মেধা আর সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে ব্যাংক কে এগিয়ে নিয়ে যান। গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে স্বল্প সময়ে প্রচুর পরিমানে এফডিআর সহ অর্থের যোগান দেন। লাভের মুখ দেখান ইসলামী ব্যাংক ভেড়ামারা শাখাকে। উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ধারায় যুক্ত হয় ভেড়ামারা ইসলামী ব্যাংক।
করোনাকালীন সময়ে ভেড়ামারার ৪০টি অসহায় হতদরিদ্র, এতিম প্রতিবন্ধী পরিবারের মুখে হাসি ফোটান। ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেকটি পরিবার কে ১মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীনেশ সরকার।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে আব্দুস সাত্তার যখন সফলতার স্বাক্ষর রেখে কর্মজীবনকে আরো বর্ণাঢ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন তখনই পারিবারিক কোন্দলের বলি হয়ে নিউজের শিরোনাম হন সফল এই ব্যাংকার। তথাকথিত কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায় তার এবং তার এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে। সংবাদে তাকে শিবির নেতা বানিয়ে জামায়াত সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়। যার সাথে আদৌও তার সর্ম্পক নাই।
ইসলামী ব্যাংক ভেড়ামারা শাখার ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বলেন, ইসলামী ব্যাংক কে ভেড়ামারার গনমানুষের প্রানের ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতেই আমি এবং আমার টিম একযোগে কাজ করছি। জামায়াতের কোন কর্মকান্ডে জড়িত হওয়া বা তাদের সাথে মিটিং করা, দাওয়াত খাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। বা এর কোন সুযোগও নেই। আমি পারিবারিক কোন্দলের বলি হয়েছি। আমার সফলতা সহ্য করতে না পেরেই মুলত সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে উদ্দ্যেশ প্রনোদিত ভাবে।

Discussion about this post