রাকিবুল ইসলাম তনু,পটুয়াখালী : পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে কতটুকু কাজ হয়েছে তা পরিমাপ করা সহ নিয়মানুযায়ী হয়েছে কিনা এবং নির্মানে কি ধরনের সামগ্রী ব্যাবহার করা হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করেন দুদক সদস্যরা। এসময় দুর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক রাসেল রনি, এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সহকারি পরিচালক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তারা প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। এসব তথ্য কাজের শর্তাবলীর সাথে মিলিয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রদান করবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী জানান, রাস্তাটির সন্তোষজনক কাজ হয়েছে, যা আমাদের প্রধান কার্যালয়ের একাধিক দল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই বাকি কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজে মোট ১৬৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে যার প্রাক্কলিত মূল্য তিন কোটি একান্ন লক্ষ টাকা।
১৬ অক্টোবর ২০২৩ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হবে। ঠিকাদারকে এখন পর্যন্ত দুই কোটির কিছু বেশি টাকা দেয়া হয়েছে। রাস্তা পরিদর্শন শেষে কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য সদর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে যান দুদক সদস্যরা।

Discussion about this post