বরগুনার সদর উপজেলায় নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় নিহত সাবেক ইউপি সদস্যর স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহত সাবেক ইউপি সদস্যের নাম পনু মিয়া (৪৫), তিনি একই এলাকার মোসলেম আলী আকনের ছেলে এবং তিনি আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আহতরা হলেন,পাকুর গাছিয়া নিবাসী আসাদুল আকাইদ(ঠান্ডা) পিতা;আব্দুল সত্তার আকন,
হাসিব আকন পিতা;হাবিব আকন, মজিবুর রহমান পিতা; মুজাফ্ফর মৃধা,ছবি স্বামী পনু, সজিব পিতা: মৃত হোসন গ্রাম ঠলুয়া ইউপি, আল জাহিদ পিতা খবির গ্রাম ৭ নং ঠলুয়া কদমতলা গ্রাম।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাকুরগাছিয়া এলাকায় দলবল নিয়ে ঠান্ডা গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালায় পনু গ্রুপ। এসময় ঠান্ডা গ্রুপও রামদা, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়। পনু গ্রুপের প্রধান সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পনু ঘটনাস্থলেই মারা।
অপরদিকে পনুর সমর্থকদের হামলায় ঠান্ডা বাহীনীর প্রধান ঠান্ডা মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা গ্রুপ ও পনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়াকে এর আগেও বেশ কয়েকবার কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঠান্ডা বাহিনী।
নিহত সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়ার স্ত্রী আহত ছবি আক্তার বলেন, ঠান্ডা বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন লোক রামদা, টেঁটা নিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে৷ আমি আমার স্বামী কে বাচাঁতে গেলে আমাকেও ওরা মারধর করে। আমার ছেলে মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছি না এখন পর্যন্ত।
বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্য রত চিকিৎসক আব্দুল আল কাফি বলেন, যারা আহত হয়েছেন আদের অবস্থা গুরতর হওয়া তাদের প্রথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এবং নিহত পনু কে এখানে নিয়ে আসার আগেই তিনি মৃত্যুবরন করেন।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যাই। আমরা আহতদের উদ্ধার করে করে হাসপাতালে পাঠাই। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের ধরতে আমাদের কঠোর অভিযান চলছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৩ মে ২০২৩