Print Date & Time : 4 May 2025 Sunday 1:30 pm

নির্যাতিতার পাশে মউক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম

মেহেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ শালিকা গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে আছিয়া খাতুন মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে দেবর ও শাশুড়ীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। আছিয়া খাতুনের কাছ থেকে যৌতুকের ১ লক্ষ টাকা না পেয়ে এ নির্যাতন চালানো হয়।

গত ১৪ মে দুপুর ১ টার দিকে আছিয়া খাতুন ছোট কন্যা সন্তানকে নিয়ে একা বাড়িতে রান্না করছিলো। এ সময় স্বামী সাহিরুল বাড়ির বাহিরে থাকায় দেবর রাহিদুল ইসলাম ও শাশুড়ী ছাবিরন নেছা আছিয়ার কাছ থেকে যৌতুকের ১ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং তাকে মারধরের জন্য প্রস্তুত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। আছিয়া খাতুন কথার প্রতিবাদ করলে দেবর ও শাশুড়ী মিলে আছিয়াকে লোহার সাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আছিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় আছিয়ার মাথার চুল ধরে চুলায় বসানো গরম ফুটন্ত তরকারির মধ্যে মাথা ঠেসে ধরে। এসময় গলার চেইন ও কানের দুলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসময় আছিয়ার উপর অমানবিক নির্যাতন ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। এসময়  প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আছিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে নির্যাতিতাকে আছিয়া হাসপাতাল থেকে নিজ বাবার বাড়ি দক্ষিণ শালিকা অবস্থান করলে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম সেখানে উপস্থিত হন। এসময় ভিক্টিম ও তার পরিবারের সাথে আলাপকালে সকল ধরনের আইনগত সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা আখতার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য মেহেরপুর পুলিশ সুপার বরাবর আছিয়া খাতুন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ১৮,২০২৩//