নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: নেছারাবাদ উপজেলায় শেখর হালদার (৩৩) নামে এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুইলাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন কুহুদাসকাঠি গ্রামের মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম।
১৯ সেপ্টেম্বর দোকানদার রফিক বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন।
আদালত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নেছারাবাদ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কথিত সাংবাদিক শেখর হালদার উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের কুহুদাসকাঠি গ্রামের শুধাংসু হালদারের ছেলে। মামলা সুত্রে জানাগেছে বরিশালে বসবাসরত শেখর হালদার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ফাইল খোজা নামে এলাকায় এসে চাদাবাজি করে বেড়ান। ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় শেখরের নেতৃত্বে অপরিচিত আরো তিনজন কথিত সাংবাদিকসহ মোটর সাইকেল যোগে রফিকের চা-মুদি মোকানের সামনে গিয়ে সরকারি জায়গায় দোকান দেয়ার অভিযোগ তুলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে রফিককে মারধর করে ক্যাশবাক্স তছনচ করে ৭ হাজার টাকা লুটে নেয়াসহ গ্লাস ও চায়ের কাপ ভেঙে ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। রফিককে দোকানদারী করতে হলে সাংবাদিক শেখরকে দুইলাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। পরে চাদাবাজির প্রতিকার চেয়ে দোকানদার রফিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ঘটনা জানার পরে সংবাদ কর্মিরা ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়রা শেখরের বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রাণির অভিযোগ তোলেন। শেখর হালদার প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকদের মতো ব্যবহার্য হাতা কাটা কটি পড়ে দামী ক্যামেরা হাতে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে খুটিনাটি ঘটনায় মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন বলে মানুষের অভিযোগ।
চাদাবাজি অভিযোগ অস্বীকার করে শেখর হালদার। তিনি বলেন, মামলার বাদী রফিক স্কুলের সামনে সরকারি জায়গায় দোকান দেয় এবং মেয়াদোতীর্ণ খাবার বিক্রি করেন। এগুলো নিষেধ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে আমাকে হয়রাণি করছে। শেখর নিজেকে বরিশালের সংবাদ সকাল পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টারসহ কিছু অখ্যাত টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২৭ সেপ্টেম্বর-২০২২

Discussion about this post