নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা: নেছারাবাদ উপজেলায় কিশোর গ্যাংদের হাত থেকে মো: আবির হোসেন নামে এক ছেলেকে রক্ষার জন্য থানায় অভিযোগ দিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কাজী আলতাফ হোসেন নামে এক পিতা। শনিবার(৯ এপ্রিল) সকালে বাদী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ করেন। গত ৩ এপ্রিল ওই হতভাগা পিতা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে কামারকাঠি গ্রামের কাজী সিয়াম(১৬), তৌহিদুল ইসলাম(১৭), তানিম(১৬), সাইমুন(১৬) নামে মোট চারজনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দেন। বাদী আলতাফ হোসেন ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই এখন তিনি সহ তার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ।
থানায় দেওয়া অভিযোগে জানাযায়, অভিযুক্ত বিবাদীরা খুবই খারাপ প্রকৃতীর লোক। তার ছেলে কখনো তাদের সাথে আড্ডা দিতনা। সে নিয়ে অভিযুক্তরা তার ছেলেকে বিরক্ত করত। এ নিয়ে তার ছেলের সাথে বিরোধ চলত। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু দিন পূর্বে বিবাদী সিয়াম আলতাফের বড় ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংশা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন সকালে তার ছেলে আবির হোসেনকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বসে অভিযুক্ত কাজী সিয়াম তার সাংঘপাঙ্গ তৌহিদুল ইসলাম,তানিম,সাইমুন সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে অতর্কিতভাবে তার ছেলে আবিরকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
আবির হোসেনের পিতা কাজী আলতাফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তারা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। তারা সংঙ্গবদ্ধভাবে এলাকায় উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করে। কেহ তার প্রতিবাদ করলেই তাদের হামলার শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য লিটন খান বলেন, আমি যতদূর জানি, ওই ছেলে ও বিবাদীরা একই বয়সের লোক। তারা একসাথে চলাফেরা করত। কোন কারনে হয়তো আলতাফ ভাইয়ের ছেলে আবিরের সাথে তাদের মতের অমিল হয়েছে। তবে তার ছেলে আবিরকে এভাবে ফোনে ডেকে নিয়ে মারাধর করা ঠিক হয়নি।
অভিযোগের তদন্তভার কর্মকর্তা নেছারাবাদ থানার এস,আই(উপ-পরিদর্শক) শাহাবুদ্দীন জানান, আলতাফের ছেলেকে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। কেন ওই ছেলে আবিরকে মারা হয়েছিল। সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post