নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা: নেছারাবাদে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার অভিযোগে কলি বেগম(২১) নামে এক গর্ভবর্তী নারীর মত্যু হয়েছে।
রোববার রাতে উপজেলার আব্দুর রহমান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই মহিলার সিজারিয়ান অপারেশনের পূর্বে অ্যানেস্থেসিয়া ইনজেকশন(অচেতন ঔষধ) দেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই গর্ভবর্তীর স্বামী নূরে আলম শেখ সোমবার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার মানবিক সরকার সহ সাতজনকে আসামি করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর পাঠিয়েছেন।
জানাযায়, নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামের নূরে আলম শেখ তার গর্ভবর্তী স্ত্রী কলি বেগম-কে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য রোববার দুপুরে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান। সন্ধ্যার পরে ওই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পরপরই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময়, ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তাররা রোগীকে দ্রুত বরিশালে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করেন। এতে রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়ে রোগী ছিনিয়ে নিয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালে আনেন। এসময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
নেছারাবাদ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো: মিরাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতর স্বামী নূরে আলম শেখ অভিযোগ করেন, আব্দুর রহমান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের অবহেলায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় মৃতর স্বামী নূরে আলম শেখ বাদী হয়ে সাতজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এক ডাক্তার সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবেনা।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//