Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 3:29 pm

নেছারাবাদে ব্রীজ ভেঙ্গে খালে :দূর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা: নেছারাবাদ উপজেলায় কালিবাড়ী খালের উপর সুটিয়াকাঠি এবং সোহাগদল দুই ইউনিয়নের সংযোগ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়েছে। এতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। গত শুক্রবার দুপুরের দিকে হেলে পড়া ব্রীজটি হঠাৎ করে সুটিয়াকাঠির বালিহারি গ্রামের উত্তরপাড় থেকে ধুমরে মুচড়ে খালের মধ্য পড়ে যায়। এর আগে গত ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার অয়ন-১ নামে একটি বালু বোঝাই জাহাজ ব্রীজটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে খালের মধ্য হেলে পড়ে। তার আট দিনের মাথায় হেলে পড়া ব্রীজটি খালের উত্তরপাড় থেকে অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙ্গে পানি পড়ে। সাথে সাথে চলাচলে দূর্ভোগে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিনে জানাযায় উপজেলার বৃহৎ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালিবাড়ি খালের ওই আয়রন ব্রীজ। এল,জি,ই,ডি নির্মিত ওই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজগামি কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ পদচারনা রয়েছে বিভিন্ন বয়সি লোকের। ব্রীজের উভয়পাড়ে রয়েছে ডগইয়ার্ড, মাদরাসা ও প্রাইমারি স্কুল। বর্তমানে ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকার কারনে খেয়া পারাপার হয়ে এপাড় ওপাড় যোগাযোগ রক্ষা করছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছে বিশেষকরে স্কুলগামি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন বলেন, ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন জাহাজটি আটকে রাখে। তখন সোহাগদল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ব্রীজটি ঠিক করে দেয়ার জন্য জাহাজ মালিককে চাপ দেন। এতে তারা হেলে পড়া ব্রীজটি মেরামত করে দেয়ার জন্য রাজিও হয়। পরে কতিপয় অজ্ঞাতনামা কুচক্রী মহলের কারনে ব্রীজটি আর ঠিক করা হলোনা।ব্রীজটি মেরামত না করেই জাহাজটি নিয়ে যায়। স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ ব্রীজ দ্রত মেরামত করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড়ালো দাবি জানান।

এ বিষয় সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অসীম বলেন, আমি এবং রশিদ চেয়ারম্যান বলেছিলাম ব্রীজটি জাহাজ কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দিবে।কোন জরিমানা করা হবেনা। যতদিন পর্যন্ত ব্রীজ ঠিক না হবে ততদিন জাহাজ আটকা থাকবে। বালু বোজাই জাহাজ যখন খালি হয়। তখন বলা হলো এখন জাহাজ পাহারা কে দিবে। তখন আবার সিদ্ধান্ত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ফুয়াদের কাছে চেক জমা দিয়ে ব্রীজের কাজ শুরু করতে হবে। জাহাজ মালিক যখন লোক ঠিক করে কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করে। ঠিক তখন রশিদ চেয়ারম্যান এসে বলে, চেকে জমাদিলে হবেনা। ক্যাশ টাকা জমা দিতে হবে। তখন তারা জাহাজ মালিক নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে জাহাজ নিয়ে চলে যায়।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোশারেফ হোসেন বলেন,ব্রীজটি ঠিক করে দেয়া হবে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে জাহাজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। ব্রীজটি ঠিক করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার তাদের কাছ থেকে সে পরিমাণ টাকা রাখা হয়েছে এবং খুব শীগ্রই জনগনের জন্য ব্রীজটি ঠিক করে দেয়া হবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//