নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা: নেছারাবাদে সড়কের পাশে অবৈধ করাতকলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সহস্রাধিক পথচারিসহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।
সড়কের পাশে অবস্থিত করাতকলের কাঠের গুড়ি পথচারিদের চোখে মুখে পড়ে বিষাক্ত হয়ে উঠছে তাদের জীবন। বিশেষকরে সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা চলাচলের সময় গুড়ি এসে চোখে পড়ে। এসময় তারা সড়কে বসেই চোখ মুছতে মুছতে যানবাহনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। করাতকলের আওয়াজে পথচারীরা রাস্তার যানবাহনের হর্ন শুনতে পাচ্ছেনা। এতে ক্রমেই আরো সড়ক দুর্ঘটনার শংকা বাড়ছে। একইসাথে সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ দখলে নিয়ে রাস্তার পাশের ওইসব করাতকলের চেরাইকৃত কাঠ লোড করা হচ্ছে ট্রাক কাভারভ্যানে। এতে সড়কের যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে প্রাইমারি স্কুলের পিছনে ধীরেন্দ্রনাথ সড়ক, ৬নং ওয়ার্ডের স্বরূপকাঠি ঝালকাঠি সড়ক, ২নং ওয়ার্ডের স্বরূপকাঠি পিরোজপুর সড়কে ওইসব অবৈধ করাতকল অবস্থিত।
সীমা হালদার নামে এক কলেজগামী শিক্ষার্থী বলেন, আমি নিয়মিত ১নং ওয়ার্ডের ধীরেন্দ্রনাথ সড়ক হইছে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে যাই। এসময় রাস্তার পাশের করাতকলের কাঠের গুড়ি এসে চোখের ভিতর প্রবেশ করে। এতে চোখে অসম্ভব জ্বালাপোড়া করে। কখনও কাঠের গুড়ি এসে মুখ থেকে শ্বাসনালীতে চলে যায়।
৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো: মাসুদ রানা পলাশ বলেন, আমি রাস্তা গাড়ী চালিয়ে ধীরেন্দ্রনাথ হয়ে বাসায় যাই। এসময় সড়কের পাশের করাতকলের কাঠের গুড়ি এসে চোখে লাগে নিয়মিত। এসময় চোখ বন্ধ হয়ে গাড়ী দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ওই রাস্তা দিয়ে খুব সাবধানে গাড়ী চালাই।
স্বরূপকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, আমি প্রতিনিয়ত স্বরূপকাঠি ঝালকাঠি সড়কের পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে স্কুলে যাই। এসময় ওই রাস্তার চিড়ারমিল স্কুলের সামনে সড়কে অবস্থিত করাতকল চলতে থাকে। তখন করাতকলের কাঠের গুড়ি চোখে এসে পড়ে। তখন আমি সহ বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের নানান সমস্যা হয়।
জানাযায়, উপজলায় কয়েক শতাধিক করাতকল রয়েছে। এর বেশিরভাগ করাতকলের নেই কোন লাইসেন্স। তারা যত্রতত্র করাতকল বসিয়ে পরিবেশ সহ মানুষের হাজারও ক্ষতি করছে। ওইসব করাতকলগুলো থেকে চেরাই করা কাঠ লোড আনলোড হচ্ছে গুরুপ্তপূর্ন সড়কের অর্ধেকের বেশি দখল করে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
পিরোজপুর জেলা বনকর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত জানান, উপজেলায় কতটি করাতকল আছে তা খাতা না দেখে বলা যাচ্ছেনা। আমি একা সাতটি উপজেলার দায়িত্বে। আমাদের লোকবল কম থাকায় অনেক কিছু করতে পারছিনা। আমরা আইনঅনুযায়ি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার জানান, নেছারাবাদে যেসব অবৈধ করাতকল আছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষকরে সড়কের পাশে যেসব করাতকল আছে। জনসাধারনের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বপ্রথম ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post