নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: নেছারাবাদ থেকে অভিমানে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে গেলেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী নেছারাবাদ উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা পদে সততার সহিত দীর্ঘ বছর কর্মরত ছিলেন। উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় তিনি একই সাথে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকাকালিন উপজেলার ১৬৯ টি স্কুলেই এনেছেন আমুল পরিবর্তন। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের শতভাগ উপস্তিতি, শিক্ষার্থীদের যথার্ত পাঠদান,বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে তিনি ছিলেন কঠোর ও একাগ্রত। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব গুরুপ্তের সাথে পালন করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেরামত, ক্ষুদ্র মেরামত, ওয়াশব্লকসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার উপর। কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন গিয়ে সুবিধা না পাওয়া অসাধু গুটিয়েক শিক্ষকরা বেকে বসে তার উপরে। তাদের চক্রান্তে পরাজিত হয়ে নিরবে নেছারাবাদ উপজেলা থেকে বদলি নিয়ে চলেন গেলেন সুযোগ্য এই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী।
জানাযায়, প্রকৃতপক্ষে সরেজমিনে বিদ্যালয়ের কাজ এবং কাজের বিল ভাউচার দেখে বরাদ্দের টাকা ছাড় দেয়া হয়। এর ব্যাতিরিকে একটি টাকাও কোন বিদ্যলয়ে ছাড় দেয়া হয়না। তাই বিদ্যালয়ের বরাদ্দ থেকে কোন টাকা ঘুষ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। অভিযোগকারি শিক্ষকদের অনেকের স্কুলে বরাদ্দ হয়নি। তারা ইউসুফ আলীর দ্ধারা বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে আসছিল। তাদের সে ধরনের কোন সুবিধা দেয়া হয়নি বিধায় তারা তার কাজের সততার প্রতি ইর্ষান্মিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ভিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে।
এ ব্যপারে বদলি নেওয়া ওই সকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চাকরি জীবনে একটি টাকাও ঘুষ ধরিনি। ঘুষের বিরুদ্ধে ছাত্র জীবন থেকেই জিহাদ করে আসছি। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাকে হেও করার অপচেষ্টা চালিয়েছে উপরওয়ালা তাদের হেদায়েত দান করুক।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post