চটগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ায় এক মুদি দোকানদারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদ পুত্র সাইফুল ইসলাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চরপাথরঘাটা সৈন্যেরটেক দারুল মডেল মাদরাসা দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মারধরের শিকার মুদি দোকানদার ছমি উদ্দিন কর্ণফুলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন ছাবের আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও আমিনুল ইসলাম (২৮), বাহার উদ্দিন মালু (৩২), গিয়াস উদ্দিন মোজাম্মেল (৩৭)। এরা সকলে ছাবের চেয়ারম্যান বাড়ির বলে অভিযোগকারী জানান।
মারধরের শিকার ছমি উদ্দিন জানান, গত ১৬ জুন রাতে ছাবের চেয়ারম্যানের দুই ছেলে ও অন্যান্য লোকজন ইউপি নির্বাচন ইস্যু নিয়ে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আমার মুদি দোকানে প্রবেশ করেন। নৌকায় কেন ভোট দিলি বলে হঠাৎ শার্টের কলার চেপে টেনে হিছড়ে বাহিরে বের করেন। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই কিলঘুষি ও মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করেন। দোকানের মালামাল তছনছ করে ভ্যান গাড়ি ভেঙে ফেলেন। পরে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।
আহত ছমি উদ্দিনের বড় ভাই জলিল আহমদ বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। হামলার বিষয়ে আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পুত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর কিছু না পেরে এসব করতেছে। মোটর সাইকেল জ্বালানো যেমন ভুয়া সাজানো ছিলো। এটাও ওরকম একটি ঘটনা।’ ঘটনার বিষয়ে জানতে হাজী ছাবের আহমদ চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন পরবর্তীতে আনারস বিজয়ী হওয়ার পর থেকে চরপাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করেছেন। এতে আহত হয়েছেন মোহাম্মদ মোকতার, বানাজ বেগম ও অন্যান্যরা। এরাও থানায় অভিযোগ করেছেন বলেন একটি সূত্র নিশ্চিত করেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৭ জুন-২০২২//