গাংনী (মেহেরপুর)প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিষ্টি এবং দই কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মিষ্টির কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর আর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে দই, মিষ্টি, রসগোল্লা, ছানা ও রস মালাই। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ময়লা কাপড় দিয়ে ঢেকে দই তৈরি করা হয়। অন্যদিকে উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানের দই, মিষ্টি আর রসগোল্লাতেও ভেজাল! বেশ কয়েকটি দোকানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও মেয়াদোত্তীর্ণ রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে দই, রসগোল্লা, চমচম ও রসমালাই। এর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তো আছেই। পাশাপাশি দই এবং মিষ্টি বিক্রির সময় ক্রেতাদের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারনা করেই চলছে মিষ্টি দোকানিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন মিষ্টির কারখানা ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের নামকরা মিষ্টির দোকানগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মিষ্টির দোকানগুলো একই কায়দায় ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এসব দোকানে অসচেতনতার কারনে ক্রেতারা পণ্যের গুনগত মানের পাশাপাশি ওজনে পরিমানে কম জিনিস নিয়েও বেশি দাম দিচ্ছে। মোট কথা যে পরিমান দাম দিয়ে দই মিষ্টি কিনলো সে পরিমান দই মিষ্টি ক্রেতারা কখনই পাচ্ছেনা। এর কারন হলো পাতিলের মিষ্টি কেজি হিসেবে বিক্রি করলেও কেজি পরিমান দই ক্রেতারা পাচ্ছেনা। মিষ্টির প্যাকেটের ভিতরে ওজন বাড়ানোর জন্য দোকানিরা ভারি কাগজ ব্যবহার করে। এতে বিক্রেতারা মিষ্টির সমপরিমান দাম দিয়েই কাগজ কিনেও নিচ্ছে। এতে করে বছরের পর বছর ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে।
গাংনী বন-বিভাগ পাড়ার মোস্তাফিজুর নামের এক ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা শহরের আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে আমি ২ কেজি চমচম ক্রয় করে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালীয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় উক্ত মিষ্টি আমাদের কে আপ্যায়নের জন্য দিলে মুখে দিতেই পচা দুর্গন্ধ বের হয় এবং উক্ত মিষ্টি একদমই খাওয়ার অনুপযোগী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর আত্মীয় বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি ফেরত নিয়ে এসে, গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আনারুল ইসলাম বাবু, সহ সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আল আমীন, সাংবাদিক এ সিদ্দিকী শাহীন, সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, সাংবাদিক মাসুদ কে জানালে সরোজমিনে উপস্থিত হওয়ার পর আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর প্রোপাইটার রাশিদুল ইসলাম এর সাথে পচা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি বিক্রির বিষয়ে কথা বলে, এবং রাশিদুল ইসলাম ভুল স্বীকার করে।
গাংনী উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে পচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, বিষয় টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post