সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে।
দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। উৎসবের দিনগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা থাকবে। মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন পুলিশ।এছাড়া থাকবে পুলিশের নিয়মিত টহলও।
পটুয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলার ২০০ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হবে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরে ৬ টি, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২১ টি, গলাচিপায় ২৯ টি, দুমকিতে ১০টি, মির্জাগঞ্জ ২০টি, কলাপাড়ায় ও মহিপুরে ১৯ টি , রাঙাবালীতে ০৬টি, দশমিনায় ১৬টি, বাউফলে ৭৩ টি, পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব পাহারাদার, স্বেচ্ছাসেবক, বিদ্যুৎ সংযোগ, আলোকসজ্জাসহ মণ্ডপগুলোতে সকল সুযোগ সুবিধা প্রস্তুত রাখতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে কঠোর নজরদারি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বছর এই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল মণ্ডপে প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে। শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক রয়েছে। পুলিশ সুপার , জেলা প্রশাসক ,ডিআইজি তারাও এইব্যাপারে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাধারন সম্পাদকে নিয়ে দফায় দফায় বেঠক করছেন। যাতে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ন ভাবে এই উৎসবটি পালন করতে পারেন।
জেলা ও উপজেলার সকল মণ্ডপ কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দফায় দফায় মিটিং করা হচ্ছে ।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বলেন, সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আমাদের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যাবস্থাপনা ইতিমধ্যে প্রনয়ন করেছি ।আমরা সাজিয়েছি কিভাবে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করবো । পাশাপাশি আনসার সদস্য তারাও কিন্তু দায়িত্ব পালন করবেন পাশাপাশি পূজা উদ্যপন কমিটি ও সকল কমিটির উদ্যোগে তারা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন এই স্বেচ্ছাসেবক আনসার বিডিপি সদস্য এবং পুলিশ পাশাপাশি র্যাব সবাই এই শারদীয় দূর্গা পূজায় নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির ও ৮ উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির সবাই আমাদের কাছে আসছিলেন । তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে কি করনীয় আমরা সব বলেছি, বিশেষ করে তাদেরকে আমরা যে বিষয়টি পরামর্শ দিয়েছি সেটি হলো প্রত্যেক পূজা মন্ডবকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য । ইতিমধ্যেই তারা আমাদের কাছে বলেছেন প্রায় অধিকাংশ পূজা মন্ডবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে ।এবং বাকি যেগুলো আছে তারা এই হাতে থাকা সময়ের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবেন ।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post