রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সুতাবাড়িয়া নদীর উপর ছিলো একটি মাত্র সেতু যেটা প্রায় ছয় বছর আগে সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে যায় । অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও নেওয়া হয়নি নতুন সেতু নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কোন উদ্যোগ।
এই সেতুর কারনে ১১টির বেশি গ্রামের হাজার হাজার মানুষগুলো দিনের পর দিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন । ডিঙি নৌকায় চড়ে ঝুঁঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন অসুস্থ রোগী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর গলাচিপা উপজেলা থেকে দশমিনা যাওয়ার পথে একটি বালুবোঝাই কার্গোর ধাক্কায় সেতুর মাঝখানের অংশ ভেঙে গিয়ে চার শিশুসহ পাঁচজন নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ওই এলাকার রেফাতুল আলমের মেয়ে নুরসাত জাহান (৫) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। পাঁচদিন পর তার মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে।
ওই সময় বালুবোঝাই কার্গোটিও ঘটনাস্থলে ডুবে যায়। প্রায় ৬বছর হলেও এখনো সেতুটি মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো । ওই এলাকার ১১টির বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের সহজ যোগাযোগ সংযোগ ছিল জমির মৃধাবাজার এলাকার খারিজা বেতাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সেতুটি।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। লোহার বিমের ওপর আরসিসি কংক্রিট ঢালাই প্লেট বসানো ১৫০ফুট লম্বার এই সেতুর মাঝখানে প্রায় ২৫ফুট অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে।
সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে গেছে। এখন শিক্ষার্থীরা ছোট খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছে। এতে সব সময় আতঙ্কের বিরাজ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে । এছাড়াও ওই এলাকায় খারিজা বেতাগী নামে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সেবা নিতে আসা নারী-শিশু রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।
এ ব্যাপারে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু জানান , বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের ব্রিজ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে । গার্ডার ব্রিজ না হলেও তিনি চলাচলের জন্য একটি মজবুত আয়রন ব্রিজের দাবি জানান।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, দুই পারের মাটি সমস্যার কারণে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post