সংবাদদাতা, পাবনা:
তিন ফসলি জমি বাদ রেখে করে শুধু পতিত ও খাস জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনমিক জোন করার দাবি জানিয়েছেন পাবনার বেড়া উপজেলার চাষিরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বোরামারা গ্রামের মাঠে বোরামারা, সিংহাসন ও বকতারপুর গ্রামের কয়েকশ’ বাসিন্দা এ দাবিতে মানববন্ধন ও চাষি সমাবেশ করেছেন।
সমাবেশে চাষিরা জানিয়েছেন তাদের তিন ফসলি জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুললে তারা ফসলি জমি এবং ভিটেমাটি হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন।
তারা বলছেন তাদের জমিতে বছরে তিন বার ফসল ফলে। এসব উর্বর জমির ফসলেই চলে তাদের জীবন জীবিকা। ফসলি জমি ও বাড়িঘর অধিগ্রহণ হলে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।
তারা বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য তারাও অর্থনৈতিক অঞ্চলটির বাস্তবায়ন চান। তবে তারা চান বোরামারা মৌজার বাইরে যমুনা নদীর তীরে খাস ও পতিত জমিতে সেটি গড়ে তোলা হোক। এতে তারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
মানবন্ধন ও চাষি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী মিয়া, সাবেক মেম্বার দুলাল উদ্দিন সেখ, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আব্দুর রহমান তৈজুদ্দিন সেখ, সারহান মন্ডল, আ. হাই, আব্দুর রহমান, শাহজাহান আলী প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। এরই মধ্যে ৯৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। বাস্তবায়নের পথে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এগুলোর মধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলায় একটি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক কাজ চলছে। পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নে যমুনা নদীর তীরে বোরামারা ও সাফুল্লা মৌজায় ৭শ’ একর জমির উপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম জানান, শাফুল্লা ও বোরামারা মৗজায় ইকোনমিক জোন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রাথমিক কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post