কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি:এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
চিকিৎসা সেবায় অপ্রয়োজনীয় রেজি: কার্ড প্রদান করে গত ২ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৭২ লাখ টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিছু অনিয়ম থাকলেও চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে কুষ্টিয়ার সুনাম রয়েছে যথেষ্ট। পার্শ্ববতী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ রোগীসহ বিভিন্ন ধরনের রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসে কুষ্টিয়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডে। প্রতিটা রোগীকে একটি রেজি: কার্ড প্রদান করে অতিরিক্ত ৫০ টাকা বিল নেওয়া হচ্ছে। যা চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবায় সম্পূর্ন অপ্রয়োজনীয় বলে অনেকেই জানান। পার্শ্ববর্তী জেলার গ্রামগঞ্জ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অসহায় সাধারন মানুষের পক্ষে অনেক সময় চিকিৎসা ব্যয় বহন করার পরও অতিরিক্ত এই বিল পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য হয় বলেও তারা জানান।
এ বিষয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শাহানাজ পারভীন বলেন, আমি এখানে এসেছি আলট্রাসনো করাতে, সনোর বিল দিতেই আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি কেন এই রেজি: কার্ডের জন্য অতিরিক্ত বিল দেবো, আমার তো এই কার্ডের কোন দরকার নেই।
এছাড়াও ভুক্তভোগী নাব্বির আহম্মেদ খান বলেন, আমি দাঁতের এক্সরে করতে গেলে আমার কাছ থেকে এক্সরে বিল ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০ টাকা বিল নেওয়া হয়। অতিরিক্ত বিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ষ্টাফদের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলেও এক পর্যায়ে বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে পপুলার ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার লিমিটেড, কুষ্টিয়া শাখা। বর্তমানে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ৩০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। প্রতিদিন যদি সর্বনিম্ন ২০০ রোগীর নিকট থেকে ৫০ টাকা করে রেজি: কার্ড বাবদ অতিরিক্ত বিল আদায় করা হয় তাহলে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে রোগীদের নিকট থেকে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই হিসেবে দেখা যায়, রেজি: কার্ড প্রদান করে রোগীদের নিকট থেকে গত ২ বছরে ৭২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার লিমিটেড। যা রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের বাইরে।
এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার লিমিটেড, কুষ্টিয়া শাখার ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে, সারাদেশে আমাদের ৩৮টি শাখার সবগুলোতেই এই কার্ড প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করবো।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post