মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি \ মিরপুর থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ এনে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জামাই নাসির ২২ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে করেন। একটি সন্তান রেখে জামাই বিদেশে যান। সেখান থেকে ফেরার পর জামাইয়ের পরকিয়ার কারনে তার ছেলের সংসার ভেঙে গেছে। দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া নাতনি তার পিতার চরিত্রহীনতার প্রতিবাদে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ে স্বামী ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এখন জামাইয়ের হাত থেকে জমি ও মেয়েকে রক্ষা করতে থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আতংকে রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ভেড়ামারা উপজেলার হিড়িমদিয়া গ্রামে। যৌতুক ও নির্যাতিত ভুক্তভোগীর বাড়ী মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে।
পরিবার ও ভেড়ামারা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ বছর পূর্বে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের হাজী মোঃ আজিজুল হকের কন্যা রানু আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে ভেড়ামারা উপজেলার হিড়িমদিয়া গ্রামের মৃত খেদালীর পুত্র নাসির উদ্দিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর সংসার ভালই চলছিল। সংসারে একটি কন্যা সন্তানও জন্ম নেয়। সংসারের স্বচ্ছলতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য নাসির বিদেশ পাড়ি দেয়।
দীর্ঘদিন বিদেশ খেটে দেশে ফিরে চোখ পড়ে নিজ শ্যালকের সুন্দরী স্ত্রীর দিকে। তারপর পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় অশান্তি। প্রতিবাদ করায় স্ত্রী রানু আক্তারের উপর শুরু হয় নির্যাতন।
নাসির-রানুর একমাত্র দশম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে পিতার পরকীয়ার কারণ ও সংসারে অশান্তির জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটে শ্যালকের সাথে তার স্ত্রীর ডিভোর্সের ঘটনা। ডিভোর্সী শ্যালকের বউ এর আবার দৌলতপুরে বিয়ে হয়। সেখানেও হানা দেয় পরকীয়া প্রেমিক নাসির উদ্দিন।
স্ত্রী রানুর নামে থাকা ১৭ কাঠা জমি লিখে দেয়ার জন্য ও পিতার কাছ থেকে নগদ টাকা আনার জন্য নাসির চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। জমি লিখে না দেয়ায় ও পিতার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় গত ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে স্বামী নাসির উদ্দিন স্ত্রী রানুকে বেদম মারপিট করে। নির্যাতন ও পরকীয়া না থামায় একপর্যায়ে রানু আক্তার পিতার বাড়ীতে চলে গিয়ে স্বামী নাসিরকে ডিভোর্স দেন।
এরপরে ঘটে নানান ঘটনা। স্ত্রী নাসির উদ্দিনকে ভিভোর্স দেয়ার পর নাসির ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর না করে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্ত্রী রানু আক্তারকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য মিরপুরের মহিষাখোলা গ্রামে হানা দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাসির দলবল নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে মহিষাখোলা গ্রাম ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আরো ২-৩ বার মহিষাখোলাতে এসে রানু আক্তারকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। জমি রেজিষ্ট্রি না করে দেয়ায় ধারাবাহিক ভাবে হুমকি অব্যাহত রেখেছে নাসির।
এমন পরিস্থিতে রানু আক্তারের অসহায় পিতা হাজী মোঃ আজিজুল হক মিরপুর থানার ওসি এবং সার্কেলকে অবহিত করে এর সূবিচার ও আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান। জামাইয়ের পরকিয়ার কারণে মেয়ের ডিভোর্স, ছেলের ডিভোর্সে ও নাতনীর আত্মহত্যার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী রানুর পিতা হাজী আজিজুল হক।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মার্চ ৪,২০২৪//

Discussion about this post