স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তালাক খেলেন গৃহবধূ

আমিন খাঁন।
গভীর রাতে অন্যের বধূর সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন জামালপুরের মেলান্দহ ছাত্রলীগের এক নেতা। আর স্বামী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছাত্রলীগ নেতার সাথে পরকীয়া করার অপরাধে তালাক খেয়েছেন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয়রা জানায় ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁন। সে ১১ নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ ও ত্রাণবিষয়ক সহসম্পাদক। তার বাবার নাম জহুরুল ইসলাম। তার বাড়ি ও ২ নম্বর চর গ্রামে। বুধবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাতে ওই নেতা উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চর গ্রামের ওই পর বধূর সাথে একান্তে মিশতে যায়। এরপর এলাকার লোকজন জানতে পেরে তাকে আটক করলে ঘটে যত বিপত্তি। ঘটনাটি দুদিন চাপা থাকলেও শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে এটি মানুষের মুখে মুখে প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘সাতমাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের দুইমাস পর আমিনুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই আমিনুল বাসায় এসে মেলামেশা করতেন। ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন খাঁন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ওই নারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এছাড়া তাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহান বলেন, ঘটনার পরদিন ছেলে ও মেয়ে পক্ষের লোকজন আমার কাছে এসেছিল। পরে গ্রাম্য সালিশে গৃহবধূর তালাক হয়।
মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান আল-আমিন বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় লোকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসি জানায়, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল একই এলাকার লোক। ওই গৃহবধূর সঙ্গে সে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিনগত রাতে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে আমিনুলকে ঘরে এনছিল। তারা যখন অবৈধ মেলামেশার প্রস্তুতি নেয় সে সময়ে তারা আটক হন। পরেরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের সালিশে ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন।

Discussion about this post