ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খড়াশুনি গ্রামে পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে লিমন পারভেজ নামের এক পেশকারের বিরুদ্ধে।
সেই সাথে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় ওই গৃহবধুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় পেশকার লিমন পারভেজ। এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধু দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ২০১০ সালে পারিবারিক ভাবে কালীগঞ্জ উপজেলার খড়াশুনি গ্রামের মহাশিন আলীর ছেলে লিমন পারভেজের সাথে একই উপজেলার চাপালী গ্রামের পুলিশ সদস্য ফারুক হোসেনের মেয়ে ফারজানা আক্তার মুন্নীর বিয়ে হয়। চাকরির কথা বলে শশুড়ের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেসময় তাকে ৬ লাখ টাকা যৌতুক দিতে বাধ্য হয় মুন্নীর পিতা। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সে। কালীগঞ্জের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে পরকীয়া করে আসছিল। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্ত্রী মুন্নী বাঁধা দিলে শুরু হয় নির্যাতন। পরকীয়ায় বাঁধা পেয়ে প্রতিনিয়ত মুন্নীকে অমানসিক নির্যাতন করে লিমন পারভেজ। এক পর্যায়ে মুন্নীকে গলায় টিপে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর মুন্নীর বাবা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লিমন পারভেজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমার সাথে স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় আমি গত মাসের ১৯ তারিখে তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। আমার নামে দুটি মামলা করেছে। আমি আদালতে চাকরি করি। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আইনগত ভাবে দোষী প্রমাণিত হলে আমি শাস্তি পাব।

Discussion about this post