বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে এবং কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও টেকনাফ অংশে জেটিসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করবে সরকার। ফলে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের জন্য বাড়বে নানা সুবিধা। এ কাজে এক হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়ন হবে। এতে অর্থায়ন করবে সরকার।
উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম
২৫ দশমিক ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩ দশমিক ৯৫ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ২৩ হাজার ৪৮৮ বর্গমিটার বন্দর ভবন, ২৩ হাজার ৪৮৮ বর্গমিটার ইনডোর নন স্ট্রাকচারাল ফিনিশিং, ৭৫ হাজার ৪৮০ দশমিক ৬০ বর্গমিটার আরসিসি জেটি নির্মাণ।
এছাড়া ৩ হাজার ৮৩০ বর্গমিটার বাউন্ডারি ওয়াল, ৮ হাজার ৪৮৫ বর্গমিটার পার্কিংইয়ার্ড , ২৪ হাজার বর্গমিটার সংযোগ বা প্রবেশসড়ক, ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩০ ঘনমিটার খনন সুবিধা (উন্নয়ন ও সংরক্ষণ), ৫ হাজার ৬৫ বর্গমিটার কাঠের জেটি ও অ্যাকসেসওয়ে, ৩০০ মিটার ব্রেক ওয়াটার এবং ১৪টি নৌ সহায়ক যন্ত্রপাতি কেনা।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. মামুন আল রশীদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আশপাশের জেলার লোকজনের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াত খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বন্দর এলাকায় মালামালের সুষ্ঠু ও নিরাপদ উঠানামা নিশ্চিতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমনকি পর্যটকদের জন্যও তৈরি হবে নানা সুবিধা।
বা// দৈনিক দেশতথ্য// ১৬ নভেম্বর//

Discussion about this post