নিজস্ব প্রতিনিধি (রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর পাংশায় আবুল হোসেন খানকে উরফে আবুল মহাজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমিজমাসহ দীর্ঘদিনের পারস্পারিক বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বৃদ্ধ আবুল মহাজনকে।
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পাংশা থানা বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নভুক্ত গাড়াল দক্ষিণপাড়ার আবুল মহাজনের বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ইজহারের বাদী মোছাঃ আছিয়া খাতুন, স্বামী যতন মোল্লা পাংশা থানায় উপস্থিত হয়ে গেল ১০ই মে দুুপুর ১টার সময় নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী মজনু পরামানিকের বাড়িতে তার বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে(৭) নির্যাতনের চেষ্টা করে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আবুল হোসেন খান। এসময় তিনি মজনু পরামানিকের স্ত্রী সাথে মাজপাড়া বাজারস্থ একটি এনজিও থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন(৭) জানালে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। তবে তিনি জানার ৩দিন পর ১৪ই মে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে ১৫মে অভিযোগের ভিত্তিতে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আবুল হোসেন খান / আবুল মহাজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পাংশা থানা পুলিশ।
বাদী মোছাঃ আছিয়া খাতুন পাংশা থানা বরাবর তার অভিযোগে মজনু পরামানিককে নিজ বাড়িতে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করলেও ঘটনার সময় নিজ বাড়ির টয়লেটে অবস্থান করছে উল্লেখ প্রসঙ্গে মজনু পরামানিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত আবুল হোসেনের কৃষি ক্ষেতে আমি কাজ করি দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘূর্ণিঝড় অশ্বিনীর কারণে সৃষ্ট নিন্মচাপে কাজ বন্ধ থাকায় আবুল হোসেন খান /আবুল মহাজন আমার বাড়ির পাশ্ববর্তী বাসিন্দা হওয়ায় তিনি গেল ১০ই মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষ হলে পুনরায় তার কৃষি ক্ষেতে কাজ করার কথা জানাতে আসে। তার বাড়িতে শিশু নির্যাতনের চেষ্টা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আবুল মহাজন / আবুল হোসেন খান তার বাড়িতে আসার পর যতটুকু সময় সে আমার বাড়িতে ছিল সে সময় আমি তার সাথে ছিলাম। অভিযোগের বাদী আছিয়া আমার স্ত্রীর সাথে মাছপাড়ায় একটি এনজিও থেকে টাকা তুলতে যাওয়ায় তার দুই মেয়ে তাকে খুঁজতে এসে আমার ছোট ছেলে চাঁদের সাথে মারামারি শুরু করলে আমি আছিয়ার দুই মেয়েকে চলে যেতে বললে তারা নিজ বাড়িতে চলে যায়। অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন এধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন , বানোয়াট এবং মিথ্যা। আবুল মহাজনের মতো এক অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে। এ সময় আমি তাকে মিথ্যা অভিযোগ করতে নিষেধ করলে আছিয়া আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং তার কথার বাইরে গেলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি।
এ প্রসঙ্গে আবুল হোসেন / আবুল মহাজনের বড় ছেলে হাসান জানান, অভিযোগকারীর পরিবার দীর্ঘদিন আমাদের নানা ধরনের হয়রানী করে আসছে।
এলাকাবাসী জানান , যার বাড়িতে ঘটনা সেই মজনুর সাথে আমাদের কথা হয়েছে সে এই অভিযোগকে মিথ্যা বানোয়াট বলে আমাদের জানায়।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post