শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা(খুলনা): কপোতাক্ষের তীব্র ভাঙ্গনের মুখে দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে ফের নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পাইকগাছার হিতামপুর এলাকার নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ।
সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে যে কোন সময় ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আতঙ্ক যেন জনমনে আরও বেশি জেকে বসেছে।
যদিও মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার হিতামপুর এলাকায় প্রায় ৫৮ লক্ষটাকা ব্যায়ে কপোতাক্ষের ক্ষতিগ্রস্থ ১৭০ মিটার এলাকার সংস্কারাধীন বাঁধ ধসের খবরে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে পাউবোর উপ বিভাগীয় সহকারী প্রৌকশলী এসএম রিফাত বিন রফিক (এসডিও) ধসে পড়া এলাকা পরিদর্শন করেছে।
সরেজমিনে স্থানীয় একাধিক চিংড়ি চাষিদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার হিতামপুর এলাকায় কপোতাক্ষের বাঁধের অব্যাহত ভাঙনে প্রায় প্রতিবছরই প্লাবিত হয় অন্তত কয়েক শ’ বিঘার মৎস্য ঘের, ধান সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এতে করে প্রতি বছরই কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয়দের।
চরেরবিল এলাকার কৃষক তৈয়বুর রহমান জানান, গত বছরও ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে সম্পূর্ণ বিল পানির নিচে প্লাবিত হয়। এতে করে ভেসে যায় অন্তত ১৬শ’ বিঘার মৎস্য ঘের, ফসলি জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে সরকারি ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিকল্প বাঁধ নির্মান করা হয়। সর্বশেষ পরিস্থিতি সেদিকেই গড়াচ্ছে এমনটাই দাবি করেন তিনি।
ধসেপড়া এলাকা পরিদর্শনকালে পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এসএম রিফাত বিন রফিক বলেন, এই এলাকায় পানির প্রচন্ড চাপ থাকায় যেনতেন উপায়ে ভাঙনরোধ করা অসম্ভব। দ্রুত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণে আস্বস্ত করেন তিনি।
চলমান সংকট নিরসন তথা ভাঙন ঝুঁকি এড়াতে কপোতাক্ষের দুর্বল বেড়িবাঁধ সংস্কার পূর্বক নদী ভাঙনরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

Discussion about this post