শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিৎসকদের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে প্রসূতির পরিবার। যদিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মৃত নবজাতকের পিতা উপজেলার লস্কর এলাকার বাসিন্দা জানান, তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী সুফিয়া (২৫) কে গত বৃহস্পতিবার রাতে আনুমানিক ৮টার দিকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তিনি। এর পর ওই রাতেই আড়াইটার দিকে হাসপাতালের নার্স’রা তার স্ত্রী সুফিয়াকে ওটিতে নেয়। তার
অভিযোগ ওই রাতে কোন ডাক্তারকেই তিনি ওটিতে প্রবেশ করতে দেখেননি।
এদিকে তার স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকলে তারা বাধ্য হয়ে নার্সদেরকে সিজার করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় কেউ তাদের কথার কর্ণপাত করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পর দিন শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ডাঃ সুজন কুমার সরকার ওটিতে গিয়ে তার স্ত্রীর ডেলিভারী করালেও সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে বলে অভিযোগ তার।
এ ব্যাপারে প্রসূতি মা সুফিয়া খাতুন জানান, তিনি ভর্তির রাতেই বার বার তার সিজার করানোর কথা বলেছিলেন।কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউই তার কিংবা পরিবারের কারো কথারই নূন্যতম মূল্যায়ন করেননি। ফলে তার নবজাতক সন্তানের মৃত্য হয়েছে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এসকল অভিযোগের কথা অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সুজন কুমার সরকার বলেন, ওই প্রসূতি ছিলেন মূলত একজন আনকন্ট্রোল ডায়াবেটিস রোগী। আর ভর্তির আগে তিনি কখনো হাসপাতালে চেকআপ করাতেও আসেননি। এমনকি মনিটরিং ব্যবস্থাও ছিলনা। তাছাড়া নির্দিষ্ট তারিখ পূর্ণ হতেও প্রায় দেড়মাস বাকি ছিল। আর এমন ধরণের রোগীদের বাচ্চা পরিপক্ক হয়ে জন্ম নেয় না
এবং সিজারেরও নির্ধারিত একটি সময় থাকে।
সর্বশেষ শুক্রবার সকালেই তিনি ওই প্রসূতির ভর্তির কথা জেনেছিলেন। আর খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ওটিতে গিয়ে তাৎক্ষণিক ডেলিভারী শেষে ওই বাচ্চাটিকে সেভ করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এ চিকিৎসক।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ৩০,২০২২//

Discussion about this post