খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সীল-সাক্ষর জালিয়াতি করে জমি রেজিষ্ট্রির অভিযোগে অমিও কুমার মন্ডল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার(১৪ মে) থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৯ (তারিখ ১৪,৫,২২)। ওই মামলায় শনিবার রাতেই আমিরুল ইসলাম নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ আটককৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাদী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বাইনবাড়িয়া গ্রামের রবিন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে সবুজ মন্ডল ৩০) পাইকগাছা পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিরের সীল ও সাক্ষর জাল করে ভূয়া প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ওয়ারেশ না হয়েও নামপত্তনের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি আদালতে দেন। পরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কবিতা রানী দাশ ঘটনার ব্যাপারে জানতে পেরে সাক্ষর জাল করে জমির নামপত্তনের জন্য সরকারী দপ্তরে দিয়েছেন। তাৎক্ষনিক পাইকগাছা থানায় জাল সাক্ষরের ব্যপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মহিলা সদস্যও।
অপর দিকে সহকরারী কমিশনার ভূমি আদালতে রাড়ূলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা লতিফা আক্তারের সাক্ষর ও সিল জাল করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ দেখিয়ে রশিদ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে লতিফা আখতার জানান, তিনি ১৯ মার্চ গদাইপুর ইউনিয়নে যোগদান করেছেন। অথচ যোগদানের আগে ৪ মার্চ তার সাক্ষর দেখানো হয়েছে । এটি অবশ্যই বড় ধরণের জালিয়াতি বলেও জানান তিনি ।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত সদস্য কবিতা রানী দাশ জানান, তার সিল ও সাক্ষর জালিয়াতি সহ পাইকগাছা পৌরসভার প্যাড ব্যবহার করায় তিনি পাইকগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আনজির জানান, সাক্ষর জালিয়াতির মামলায় আমিরুল ইসলাম চঞ্চল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, বাতিখালীর মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে অমিয় কুমার মন্ডল বাদী হয়ে থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাক্ষর জালিয়াতির মামলা করে। যার নং ১৯ (তারিখ ১৪,৫,২২)। ওই মামলায় আমিরুল ইসলাম চঞ্চল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে১৫,২০২২//