শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) :পাইকগাছা পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রের কোলঘেঁষে প্রবাহিত শিবসা নদী বক্ষে ফেলা বর্জ্যে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে পুড়ছে সেখানকার বনায়নের গাছ। গত দু-তিনধরে শিবসার চরভরাটি এলাকায় পৌরসভার অস্থায়ী বর্জ্য কূপে থেকে থেকে চলছেএমন অবস্থা।পৌরসভার কোল ঘেঁষে বয়ে চলা শিবসা নদীর চর ভরাটি এলাকা সংরক্ষণে আগেই গড়ে তোলা হয়েছে বনায়ন প্রকল্প। জোয়ারে ভেসে আসা বিভিন্ন প্রজাতির ফল পড়ে
প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বনায়নকে স্থায়ী রুপদান ও দখল-দূষণ ঠেকাতে পরে হাতে
নেয়া প্রকল্প ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে পর্যটন প্রেমেিদর। নির্মল পরিবেশে ভর
করে পাখ-পাখালির কিচির-মিচির শব্দ যে কাউকে কাছে টানতে সমর্থ হয়েছে
প্রকল্পটি। তবে সামগ্রিক পরিবেশে বাঁধ সেধেছে পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য
ভান্ডার। ইতোমধ্যে সেখানকার বর্জ্য পঁচা গন্ধ সামগ্রীক পরিবেমকে ভারী করে
তুলেছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বেড়েছে অতীতের যেকোন সময়েে চেয়ে।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বনায়ন সংলগ্ন বর্জ্যস্তুপে কে বা কারা রাতের আঁধারে
আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে পঁচা বর্জের পোড়া উটকো গন্ধে বাতাসে ঠেলে
দিচ্ছে নানা রোগ-জীবাণু। শুধু এখানেই শেষ নয়, সর্বশেষ অগ্নিকান্ডে পুড়ে
গেছে বনায়নের অনেকগুলো গাছ। কারা করছে? আর কেনই বা করছে? এমন নানা প্রশ্নউঁকি দিচ্ছে পৌরবাসীর মনে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা
করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিবসা নদীর চর ভরাটি অন্তত ৫ হেক্টর জমিতে ২০১৪
সালে বনায়ন করা হয়। প্রকল্পটি একদিকে যেমন নদী ভরাটি জমির দখল-দূষণ
প্রতিরোধ করছে অন্যদিকে বনায়নকে ঘিরে আকৃষ্ট করছে পর্যটন পিপাসুদের। তবে
সকল পরিকল্পনায় ছাই ঢালছে এক পৌরবর্জ্য। যা পুড়িয়ে বর্জ্য হ্রাস হলেও
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি উজাড় হচ্ছে বনায়নের গাছ।
এ বিষয়ে বাতিখালী বনায়ন সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, শিবসা নদীর চরভরাটি জমির অবৈধ দখল ঠেঁকাতে বনায়ন প্রকল্পটি ছিল উপজেলা প্রশাসনেরপরিকল্পিত কৌশল। যাতে করে একদিকে যেমন দখল-দূষণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছিলঅন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য সৃষ্টি করে প্রকল্পটি নজর কেড়েছে ভ্রমণ
পিপাসুদের। বাতিখালী সমিতির মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল বলেও
দাবি করেন তিনি।
পাইকগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ মাহবুবর রহমান রঞ্জু বলেন, ‘ইতোমধ্যে
শিবসা নদীতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আগের ফেলা
বর্জ্যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঐসকল জায়গা দখলের কারো
সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘পৌরসভা বর্জ্য অপসারণে
ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে, যা
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকান্ড কিংবা চরভারাটি জায়গা
দখলের কোন সুযোগ নেই। এমনটি হলে অবশ্যই জড়িতদের বির”দ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Discussion about this post