Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 7:57 pm

পাইকগাছায় টাকা নিয়ে লাপাত্তা নারী

শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছায় এনজিও কর্মীর পরিচয়ে বিদেশি গরু সহ বিভিন্ন মালামাল দেওয়ার প্রলোভনে হতদরিদ্র ১৫ জনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের জনৈক আব্বাস গাজীর ছেলে কবির গাজীর বাড়িতে প্রতারক চক্রের এক নারী প্রতিবন্ধী ট্রাস্ট এনজিওর সদস্য ও পার্শ্ববর্তী কপিলমুনির নোয়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা পরিচয়ে যান। এমনকি তাদের বর্তমান অফিস কপিলমুনিতে বলে জানান।

উপজেলার ১৫ জন প্রতিবন্ধী,গরীব,হতদরিদ্রের তালিকা করে তাদের প্রত্যেককে ১টি করে বিদেশি গরু, ডাল, গোয়াল ঘর তৈরির জন্য টিন ও সিমেন্টের খুঁটি প্রদান করবেন তিনি। এমনকি মাসে ৪ বার প্রত্যেক জন উপকারভোগীর বাড়ি পরিদর্শন করবেন বলে জানান। মালামাল দেওয়ার ১ সপ্তাহ পর প্রত্যেকজন সদস্যদেরকে ১টি করে ছাগল অথবা ভেড়া দিবেন বলে প্রলুব্ধ করেন।
তবে সদস্য অনÍর্ভুক্তির জন্য প্রত্যেকজনকে সে বাবদ ১ হাজার ৬০ টাকা করে দিতে হবে। এর পর নানা রকম ভাবে প্রলুব্ধ করে হতদরিদ্র ১৫ জনের নিকট থেকে সর্বোমোট ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যান তিনি।
তার পর নির্ধারিত দিনে মালামাল না দিয়ে ওই নারী প্রতারকের ফোন বন্ধ পেয়ে তারা বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন তারা। বিভিন্ন মামালাল দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে প্রতারণা করা হয়েছে।
নবীজান বিবি নামের ভুক্তভোগীদের একজন গৃহবধূ জানান, প্রতারক চক্রের ওই নারী সদস্য তাকে গরুসহ বিভিন্ন মালামাল দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এমনকি এনজিওর মালামাল নেওয়ার ২২ মাসের মধ্যে তাদের ওই সকল কিছু বিক্রি করলে বা কাউকে হস্তান্তর করলে সেই সদস্যকে গরু বা ছাগলের বাজার দর অনুযায়ী নগদ অর্থ এনজিওকে ফেরত দিতে হবে এমন শর্তও দেন ওই প্রতারক চক্রের নারী সদস্য।
তবে গরু দেওয়ার নির্ধারিত দিনে ওই নারী সদস্যের দেওয়া দুটি মোবাইল নং যথাক্রমে ০১৯১৯-৮৯১৯০৪ (বিকাশ নং) ০১৯৫৪-৭৪৫৮৩৭ বন্ধ পেয়ে সকলের ন্যায় তিনিও হতাশ হয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ এ ব্যাপারে জানতে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রতারকের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দিয়ে প্রথমটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং ০১৯৫৪-৭৪৫৮৩৭ নম্বরে ফোন দিলে একজন নারী কল রিসিভ করে পরিচয় জানতে চান । এর পর গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে তার নাম ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে রং নম্বরে ফোন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর ওই নম্বরে একাধিকবার কল করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ প্রতিবন্ধী, হতদরিদ্র দিনমজুর ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন এলাকাবাসী চক্রের ভূয়া এনজিও কর্মী পরিচয়ে প্রতারণাকারী ওই সদস্যকে চিহ্নিত পূর্বক প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//