পাইকগাছায় প্রতিবেশীর লালসার শিকার এক বাক্প্রতিবন্ধী যুবতী ৭ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটিকে পুঁজি করে স্থানীয় মহলবিশেষ গত প্রায় ২ মাস ধরে মিমাংশার নামে প্রহসন শুরু করেছে। সর্বশেষ ঐ যুবতীর গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে সংশ্লিষ্ট পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে জানাযায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাদখালী ইউনিয়নের ধামমরাইল গ্রামের রফিকুল গাজীর বাক্ প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়ে (৩০) জনৈক প্রতিবেশী হালিম মোড়লের (৪৮) লালসার শিকার হয়ে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত প্রায় মাস দু’য়েক আগে বিষয়টি ঘটনার শিকার যুবতীর মা টের পেলে মেয়েকে এর জন্য দায়ী ব্যাক্তির পরিচয় জানতে চায়। এসময় ইশারায় সে প্রতিবেশী মৃত করিম মোড়লের ছেলে হালিম মোড়লকে দায়ী করে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে হালিম পলাতক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, হালিম প্রায়ই রফিকুল গাজীর বাড়ির পাশ দিয়ে তাদের জমিতে যাতায়াত করতো। এর বিভিন্ন সময় দরিদ্র রফিকুল ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে হালিম তাদের প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়েকে ফুসলিয়ে অবৈধ মেলামেশা শুরু করে। এর এক পর্যায়ে ঐ যুবতী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে শারীরিক পরিবর্তনে প্রথমে তার মায়ের সন্দেহ হয়। এসময় প্রতিবন্ধী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার জন্য ইশারা ইঙ্গিতে হালিম মোড়লকে চিহ্নিত করে।
এরপর রফিকুল ও তার স্ত্রী বিচারের দাবিতে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলফিকার মোড়লকে জানায়। প্রথমে তিনি এর বিচারের আশ্বাস দিলেও পরে তিনি এর কোন প্রকার বিচার না করে কৌশলে অভিযুক্ত হালিমকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে হালিমের বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জন্য হালিম দায়ী নয় বলে জানিয়ে দোষী ব্যাক্তি শনাক্তে ডিএনএ টেষ্ট’র দাবি করেন।
ঘটনার শিকার প্রতিবন্ধীর পিতা জানান, তারা বিষয়টি জানতে পেরে প্রায় দু’মাস আগে ইউপি সদস্য জুলফিকার মোড়লের কাছে গেলে তিনি অভিযুক্ত হালিমসহ আরো ৪ যুবককে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের সামনে নিলে সে সবার সামনে হালিমকে চিহ্নিত করে। এরপরও তিনি এর বিচার না করে উল্টোঅভিযুক্তকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে পরোক্ষ সহায়তা করেছেন।
দৈনিক দেশতথ্য //জা//অক্টোবর ০৩, ২০২২//

Discussion about this post