
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বকুল গাছের চারা রোপন করেছেন বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী (৬০)। বৃক্ষ প্রেমিক খ্যাত সিদ্দিক গাজী উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদে কয়েকটি বকুলের চারা নিয়ে হাজির হন সিদ্দিক গাজী। এর পর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিককে সাথে নিয়ে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে ওই চারা গুলো রোপন করেন।
এলাকায় সবাই তাকে চেনেন বকুল সিদ্দিক নামে। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারেও বেশি বকুলের চারা রোপন করেছেন তিনি।
প্রথমে তিনি বিভিন্ন নার্সারী থেকে চারা কিনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রোপন করতেন। এর পর ১৯৯০ সালে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নার্সারী গড়ে তোলেন। যদিও এলাকার লোকজন নার্সারীটি নষ্ট করে দেয়। এরপর আবারও অন্যের জমি ইজারা নিয়ে নার্সারী গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার নিজের ২ কাঠা জমিতে নার্সারী রয়েছে। ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইউএনও মিহির কান্তি মজুমদার তাকে কপিলমুনি কলেজে মালি পদে চাকুরি দেয়। এ চাকুরি প্রত্যাখ্যান করে বকুলের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন সিদ্দিক গাজী।
বর্তমানে বিভিন্ন বিল থেকে বিরগুণি শাক সহ নানা রকমের শাক সংগ্রহ করে কপিলমুনি বাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি তিনি জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদে কয়েকটি বকুলের চারা নিয়ে হাজির হন সিদ্দিক গাজী। এর পর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিককে সাথে নিয়ে উপজেলা পরিষদ অভ্যন্তরে ওই চারা গুলো রোপন করেন।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, আব্দুল মান্নান গাজী, কাজল কান্তি বিশ্বাস, জিএম আব্দুস সালাম কেরু, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ ও ফসিয়ার রহমান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।