পাইকগাছায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
মহামারি করোনাকালীণ সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাওয়া সাধারণ কর্মীদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদারের বিরুদ্ধে এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), খুলনা সিভিল সার্জন, খুলনা বিভাগীয় দ‚র্নীতিদমন কমিশন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মরত সাধারণ স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা।
অভিযোগে জানানো হয়, মহামারী করোনাকালীন সময়ে তৃণমূলের সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা টিকা প্রদানে সরকার মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের অতিরিক্ত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেন। অথচ বরাদ্দের অর্থ প্রথমত কাউকে না দিয়ে সমুদয় অর্থ আতœসাতের অপচেষ্টা করেন পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নিতীশ চন্দ্র গোলদার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি শুধুমাত্র দু’দিনের জন্য গত ৬/১১/২১ ও ৮/১১/২১তারিখে কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ১,৩,৫০০টাকার স্থলে মাত্র ৯,৭০০ টাকা প্রদান করেন। এ ছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা টিকা প্রদানে বরাদ্দকৃত ৩২,৮০০ টাকার স্থলে মাত্র ১৭,০০০টাকা প্রদান করে বাকি টাকা তিনি নিজেই আতœসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় ঐ অভিযোগপত্রে।
এছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ডা: নিতীশ তাদের সাথ কারণে-অকারণে খারাপ আচরণ করেন। একারণে তার সাথে অনেকেই কথা বলতে পর্যন্ত সাহস পাননা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: নিতীশ চন্দ্র গোলদারের সাথে কথা বলতে গ দু’দিনে তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত ০১৭১১-৪৪৮৯৩৭ নং মোবাইলে রিং দিলেও মোবাইলটি বন্ধ দেখায়। তবে তার অনুগত জনৈক কর্মচারী দাবি করেন, করোনাকালীণ বরাদ্দের টাকা তিনি এখনো উত্তোলনই করেননি। ভারত থেকে দেশে ফেরার পর তা ডিস্ট্রিবিউট হবে। এছাড়া যারা যারা টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাও নাকি বরাদ্দের টাকা প্রাপ্তির পর পরিশোধ শর্তে তার কাছ থেকে ধার হিসেবে নেওয়া হয়েছে যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মচারী জানান, তিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন। এর আগে প্রায় ৩মাস পূর্বেও তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তবে এবারও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ফলোআপের জন্য ভারতে গেছেন।
তবে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার ব্যাপারটি সত্য হলে তার বাংলাদেশী চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারংবার ভারতে যাওয়ার বিষয়টিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হলে বেরিয়ে আসবে বহু দূর্নীতি-অনিয়মের চিত্র। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রিমন//দৈনিক দেশতথ্য//৯মে-২০২২