রাকিবুল ইসলাম তনু,পটুয়াখালীঃ
পাখি তাড়াতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করছেন সূর্যমূখি কৃষকরা । ফাঁদ নয় রং বেরংয়ের পলিথিন টানিয়ে দিচ্ছেন ক্ষেতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে । এতে পাখির কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে সূর্যমূখি বীজ। উপকৃত হচ্ছেন অনেক কৃষক।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের ইউনিয়নের বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ। চলছে বীজ বপনের কাজ। কিন্তু বার বার বীজ বপন করেও রাখতে পারছেননা কৃষকরা। শালিক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে বসছে সূর্যমূখির ক্ষেতে। বীজ খেয়ে ফেলছে ক্ষেতের । তাই পাখির কবল থেকে বীজ রক্ষায় ফাঁদের পরিবর্তে এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন কৃষকরা। মাঠের বিভিন্ন স্থানে লাঠি পুঁতে সাটিয়ে দিচ্ছেন ছোট বড় রং বেরংয়ের পলিথিন। বাতাসে পলিথিনের শোঁ শোঁ শব্দেই চলে যাচ্ছে পাখি। শুধু পলিথি নয় পুরাতন ক্যাসেটের ফিতা ও প্লাটিকের বস্তাসহ অনেক স্থানে বসানো হয়েছে কাকতাড়ুয়া । শত শত কৃষক পাচ্ছেন সুফল এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনে ।
মহিপুরের ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মনির মিয়া জানান, আমি ৯০
শতাংশ জমিতে সূর্যমূখির আবাদ করেছি। দুই বার বীচ বপনের পরও রাখতে পারেনি। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বসে সব নষ্ট করে দিয়েছে। এখন
তৃতীয়বারের মতো রোপন করেছি এবং ক্ষেতের সব যায়গায় পলিথিন
টানিয়ে দিয়েছি। এখন ক্ষেতে আর পাখি বসছেনা।
একই এলাকার অপর কৃষক তৃষ্ণা রানী জানান, আমরা গত বছর পলিথিন পদ্ধতি অবলম্বনসম্পর্কে জানতান না। যার কারনে দুই তিন বার করে বীজ রোপন করতে হয়েছে। তবে এবছর আমাদের এলাকার সবাই বীজ রোপনের পরই পলিথিন টানিয়ে দিয়েছি। এবছর আর পাখিতে বীজ নষ্ট করতে পারেনি।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ হয়েছিলো। এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখির আবাদ হয়েছে। এই উপজেলা দিন দিন বাড়ছে সূর্যমূখির আবাদ। সূর্যমূখির বীজ রক্ষায় কৃষকদের এই অভিনব পদ্ধতি আমরা সকল কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//