সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: এবার জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ভারতীয় এক নাগরিকে বিএসএফর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
সীমান্তে লাশটি দুই দিন পড়ে ছিল। বিজিবি লাশটি পড়ে থাকার খবর পেয়ে বিএসএফকে খবর দেয় মৃত ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিকের নয়। পরে বিএসএফের সহায়তায় ভারতীয় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত সীমান্তে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেছে গ্রামবাসীরা।
জানা গেছে, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সীমান্তের ৮৫৬ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন ভারতের দারিকামারী গ্রামে ১টি লাশ পড়ে থাকতে দেখে সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দারা। বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ হতে পারে ভেবে স্থানীয় বিজিবিকে খবর দেয়া হয়। বিজিবি সীমান্তে খোঁজ খবর করে বিএসএফকে জানায়, সীমান্তে এক জনের লাশ পড়ে আছে। বিএসএফ মৃত ব্যক্তিকে তাঁদের দেশের নাগরিক নয় বলে বিজিবিকে জানায়। পরবর্তীতে বিজিবি নিহত ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক- এ তথ্য সরবরাহ করে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম মোসাহাব হোসেন মোসাব (৪০)। পিতা মৃত নুর মোহাম্মদ। ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার জামালদহ গ্রামে তার বাড়ি। এ খবরে পরে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার নিয়ে যায়।
সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে কাজ করতে আসা কৃষি শ্রমিক শফিয়ার রহমান (৪৬) জানান, মৃত ভারতীয় নাগরিকের শরীরে নির্যাতনের দগদগে দাগ আছে। তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে সীমান্তে ফেলে রেখে গেছে। সেটা বিএসএফ বা অন্য কেউ হতে পারে। যেহেতু কাটাতারের ওপারে বিএসএফের ১৬৯ ব্যাটালিয়ন রাণীনগরের জামালদহ ক্যাম্পের অধীনে। সেই ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা রাতে দায়িত্ব পালন করে ছিল।
এ ব্যাপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (৬১ বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর কালীরহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার লিয়াকত জানান, সীমান্তে পরে থাকা ব্যক্তির লাশটি ভারতীয় নাগরিকের। পরে ভারতীয় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এটি জানতে জামালদহ বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বরত বিএসএফের কমান্ডার বলতে পারবে।
দৈনিক দেশতথ্য/এসএইচ//